সংশোধনের জন্য ১০ শর্তে সুনামগঞ্জের ৪৯ শিশুকে প্রবেশনে মা-বাবার কাছে থাকার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন বুধবার সকালে এ রায় দেন।
আদালত জানায়, ৩২৩ ধারার ৩৫টি মামলায় এসব শিশুকে আসামি করা হয়। বিচারাধীন মামলাগুলোতে শিশুদের প্রায়ই আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এতে শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
এসব সমস্যা থেকে শিশুদের মুক্তি দিতে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রেখে সংশোধনের জন্য শর্তসাপেক্ষে মা-বাবার জিম্মায় পাঠায় আদালত।
আদালতের দেয়া ১০ শর্ত হলো ১০০ মনীষীর জীবনী নিয়ে লেখা গ্রন্থটি পড়া, বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলা, বাবা-মায়ের সেবা করা এবং কাজে সাহায্য করা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পড়া এবং কমপক্ষে ২০টি গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করা।
এ ছাড়া অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা, ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে না জড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেয়া হয়।
শিশুরা সংশোধনের শর্তগুলো মেনে চলছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য জেলার প্রবেশন কর্মকর্তা শফিউর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিন মাস অন্তর আদালতকে এ বিষয়ে জানাতে তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রবেশন কর্মকর্তা শফিউর রহমান বলেন, ‘আদালত যে রায় দিয়েছে, তা শিশুদের বেড়ে উঠতে কাজে দিবে। এতে শিশুরা অপরাধ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে। আদালত তাদের যে ১০টি শর্ত দিয়েছে, তা মানা হচ্ছে কি না আমি নজরে রাখব।’