দেশের প্রতিটি গ্রামে শহরের মতো আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে বেশ কিছু উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সচিবালয়ে বুধবার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেশ কিছু উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়গুলো থেকে আসা একাধিক প্রস্তাব মূল্যায়ন করে দেখা গেছে, অনেক প্রস্তাবই ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না। এসব নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া দরকার। সেক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা দরকার, যারা নিয়মিত বসবে।”
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি মন্ত্রণালয় যাদের সঙ্গে পরস্পরের কাজের ধরনের মিল আছে, তাদেরকে মিলিয়ে কয়টি সাব কমিটি করা হয়েছে। ক্লাস্টার করা হয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, কমিটিগুলো ঘন ঘন মিটিং করে করণীয়গুলো নির্ধারণ করবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তারা সহযোগিতা করবে।
শহরাঞ্চলের মতো গ্রামগুলোতেও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সে লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্ত করে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’স্লোগান।
এ ছাড়া গ্রাম উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীরও অঙ্গীকার রয়েছে। সেসব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক সুবিধা পৌঁছে দিতে একটি প্রকল্প গঠন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী তাজুল।
‘আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করে একটি টেকনিক্যাল প্রজেক্ট করেছি এবং সেটা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে প্রজেক্টটা অনুমোদন হয়ে যাবে।’
প্রকল্প অনুমোদনের পর ১৫টি গ্রামে পাইলট প্রজেক্ট করা হবে বলেও জানান এলজিআরডি মন্ত্রী।
এসব গ্রামের সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ যাবে, সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে, আধুনিক পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা হবে, শিক্ষার ব্যবস্থা উন্নত হবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত হবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে, কৃষি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন হবে এবং লাভজনক হবে।’
কর্মসংস্থান তৈরি, ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, বাজার ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে একটি উন্নত জীবন যাত্রার জন্য যে ব্যবস্থাপনা মানুষের জন্য প্রয়োজন সেগুলো সব কিছুই সেখানে করা হবে।’