বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা মালয়েশিয়া ফেরত শিক্ষার্থী

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৩২

শিক্ষার্থীর মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছেলে একটু ঘরকুনো টাইপের। পড়াশুনা ছাড়া কিছু বুঝতো না। ছোট থেকে বড় হয়েছে সৌদি আরবে। ওখানে ও লেভেল, এ লেভেল শেষ করেছে। এরপর মালয়েশিয়া যায়। ওখানে দুই বছর পড়াশুনা করে। মাঝে ওভার থিংকিংজনিত সমস্যার কারণে তাকে দেশে নিয়ে আসি। অ্যাপেলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। ও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।’

রাজধানীর ভাটারা এলাকার বাসা থেকে গত ১৩ জানুয়ারি বেরিয়ে যাওয়া মালয়েশিয়া ফেরত এক শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এ জন্য ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার মা।

ভাটারা থানা পুলিশ বলছে, বাসা থেকে বের হওয়ার আগের রাত থেকে তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে, যা আর খোলা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণেও ওই শিক্ষার্থী বাসা থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর কোন দিকে যান তা পাওয়া যায়নি।

শিক্ষার্থীর মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছেলে একটু ঘরকুনো টাইপের। পড়াশুনা ছাড়া কিছু বুঝতো না। ছোট থেকে বড় হয়েছে সৌদি আরবে। ওখানে ও লেভেল, এ লেভেল শেষ করেছে। এরপর মালয়েশিয়া যায়। ওখানে দুই বছর পড়াশুনা করে। মাঝে ওভার থিংকিংজনিত সমস্যার কারণে তাকে দেশে নিয়ে আসি। অ্যাপেলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। ও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।’

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ছেলেকে আর মালয়েশিয়া পাঠানো হয়নি বলে জানান তিনি।

বলেন, ‘ও দুই বছর পড়াশুনা করেছে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। পড়াশুনা শেষ করতে না পারায় একই সাবজেক্টে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু মালয়েশিয়ায় শেষ করে আসা ক্রেডিট নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ সমন্বয় না করায় শেষ পর্যন্ত ভর্তি বাতিল করা হয়।

এরই মধ্যে ও আবার মালয়েশিয়াতে ভর্তি হয় বলে জানায়। সে অনুযায়ী, গত ১৪ জানুয়ারি টাকা জমা দেয়ার কথা। কিন্তু আগের দিনই বাসা থেকে একটি ব্যাকপ্যাক ও চাদর নিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর আর খোঁজ নেই ওর।’

শিক্ষার্থীর মা আরও বলেন, ‘ও ছোট বিষয় নিয়ে অনেক বেশি ভাবতো। ঢাকায় তেমন কাউকে চিনে না। বড় হয়েছে সৌদি আরবে। কোথায় গেছে, কীভাবে আছে জানি না।’

তিনি বলেন, ‘সকালে কাজের বুয়া এসে নক করলে দেখি দরজা খোলা। ওর রুমের দরজাও খোলা ছিল। কোথাও খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করি।’

স্বজনরা জানিয়েছেন, তার ব্যবহৃত একটি ফোন পাওয়া গেছে বাসায়। তবে ফোনে মালয়েশিয়ায় পুনরায় ভর্তির কোনো মেইল বা তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভর্তি হননি। টাকা কোথায় জমা দিতে হবে জানতে চাওয়া হতে পারে- এই ভয়েই বাসা ছেড়েছেন তিনি।

তার মায়ের করা সাধারণ ডায়েরিটি তদন্ত করছেন ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সে যে মোবাইলটি নিয়ে বাসা থেকে বের হয় সেই মোবাইলে ব্যবহৃত সিমটি আগের রাত থেকেই বন্ধ ছিল। এরপর এই সিম এবং ফোন চালু হয়নি। আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও চেক করেছি। কিন্তু তা ধরে কিছু দূর যাওয়ার পর আর ট্রেস পাওয়া যায়নি।

‘আমরা নিখোঁজ শিক্ষার্থীর ফেলে যাওয়া ফোন ও প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর