বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারের উদ্বেগ রোহিঙ্গাদের আরসা যোগাযোগ

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৩৪

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘তারা আরসার বিষয়ে তাদের কনসার্ন জানিয়েছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, বাংলাদেশ তার ভূখন্ডে কখনোই প্রতিবেশি দেশের চরমপন্থিদের আশ্রয় দেয় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের শূন্য সহনশীলতা নীতি রয়েছে।’

রাখাইনে স্বশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের যোগাযোগ সন্দেহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। তবে বিষয়ে নেপিদোকে আশ্বস্ত করে ঢাকা জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয় না তারা।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার, চীন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে নেপিদো।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘তারা আরসার বিষয়ে তাদের কনসার্ন জানিয়েছে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, বাংলাদেশ তার ভূখন্ডে কখনোই প্রতিবেশি দেশের চরমপন্থিদের আশ্রয় দেয় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের শূন্য সহনশীলতা নীতি রয়েছে।’

‘তারা চায় রোহিঙ্গারা সেখানে আইন কানুন মেনে চলুক। আমরা জানিয়েছি, এখানে রোহিঙ্গাদের আট নয়টা গ্রুপ আছে। তবে তাদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নেই। এরা সন্ত্রাসী। মুলত বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।’- যোগ করেন পররাষ্ট্র সচিব।

রোহিঙ্গাদের গ্রামভিত্তিক প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার ও চীনকে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন।

‘মিয়ানমারের কাছে ইতোমধ্যে যে তালিকা দেয়া হয়েছে এবং যাদের পরিচয় দেশটি নিশ্চিত করতে পেরেছে তাদের মধ্য থেকে গ্রামভিত্তিক প্রত্যাবাসনের একটি কথা আমরা বলেছি।’

তবে এ বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো প্রস্তাবে তারা সহনশীলতা দেখাবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রত্যাবাসনের বিষয়ে গঠনমূলক সব আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানানোর কথাও জানিয়েছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

‘পাশাপাশি চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ডিজি পর্যায়ের কর্মকর্তারা একটি হটলাইনের মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন, যাতে যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যায়।’

মে থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর আশা পররাষ্ট্র সচিবের। জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করতে নেপিদোকে তাগিদ দিয়েছে ঢাকা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, বছরের প্রথম কোয়ার্টারে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায় কি না। নেপিদো বলেছে, এ সময় প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রস্তুতি তাদের নেই। বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেনবাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ছবি: নিউজবাংলা

মাসুদ বিন মোমেন জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো ক্ষণস্থায়ী প্রক্রিয়া চায় না বাংলাদেশ। প্রত্যাবাসন যেন টেকসই হয় তার জন্য মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরও সচেতন হওয়ার দরকার আছে।

মিয়ানমার বাহিনীর অত্যাচারে রোহিঙ্গারা ৮০ দশক থেকেই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসতে থাকে। সবচেয়ে বড় স্রোতটা আসে ২০১৭ সালের আগস্টের পর। সব মিলিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

এদের মধ্যে এক লাখকে বাংলাদেশ ভাসানচরে স্থানান্তর করতে চায়। এরই মধ্যে দুই বারে দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে সেখানে নেয়া হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। এ জন্য দেশটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে মিয়ানমার পিছিয়ে আসে। আর এ নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ নানাভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করছে।

মিয়ানমারের ওপর চীনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। সাম্প্রতিক উদ্যোগে এই দেশটি যুক্ত হওয়ায় ঢাকা এবার প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি আশাবাদী।

গত ৯ বা ১০ জানুয়ারি এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। চীনই এই তারিখ ঠিক করেছিল। বাংলাদেশও রাজি ছিল। কিন্তু পরে চীন এই বৈঠক পিছিয়ে দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর