২০২১ সালের খসড়া ভোটার তালিকায় নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ১ হাজার ৯৮৩, নারী ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গ ১৫ জন।
পুরুষ ভোটারের চেয়ে এবার নারী ভোটার কম হয়েছেন চার লাখ, যা পুরুষের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। কিন্তু কেন?
এ বিষয়ে ইসির কেউ কোনো কথা বলতে না চাইলেও প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র যুগ্মসচিব আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশন ১৬ বছর বয়সীদের কাছ থেকে আগাম ভোটার তথ্য সংগ্রহ করছিল। পরে তারা পূর্ণবয়স্ক হয়ে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। তখন হয়তো পুরুষের তুলনায় নারীরা কম তথ্য দিয়েছিলেন। এছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।
আসাদুজ্জামান বলেন, আগাম তথ্য না দেয়া নারীরা এবার তথ্য সংগ্রহের সময় স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। এতে অস্বাভিকতা খোঁজার কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভোটার তথ্য সংগ্রহ করে, যা সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। সেখানে যোগ্যরাই ভোটার হন। নারী বা পুরুষ বিবেচনায় নয়।
ইসি ঘোষিত খসড়া অনুযায়ী, দেশে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৫ জন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৫।
নির্বাচন কমিশন দেশের হালনাগাদ ভোটার তথ্য প্রকাশ করে গত রোববার।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট ভোটার ১১ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৮।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৩। নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার ২৭০।
২০১১ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে নারী ও পুরুষের সংখ্যা এখন প্রায় সমান। দেশে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ৫১৮ জন পুরুষ ও ৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৭ জন নারী। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ ১৮ হাজার।