মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছে আদালত।
এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতন পেছাল এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ।
মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক মিয়া তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারায় প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন। ফলে ঢাকার মূখ্য মহানগর আদালতের হাকিম বাকী বিল্লাহ প্রতিবেদনটি জমা দেয়ার জন্য নতুন তারিখ দেন।
গত ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ এবং জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেন মনির। এছাড়াও দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। সব মিলিয়ে র্যাব সদস্যরা তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা করেন।
অস্ত্র আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১০ ডিসেম্বর গোল্ডেন মনিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত ।