বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফসহ নয় জন মন্ত্রী- প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
শোক প্রকাশ করা হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজনদের নামে, যাদের একজন সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান।
সংসদে বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই এই শোক প্রস্তাব পাস হয়।
একটি সংসদের সমাপনী অধিবেশন থেকে পরের অধিবেশনের আগ পর্যন্ত বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্টজনদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করার রীতি আছে সংসদে।
সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতেই প্যানেল সভাপতি মনোনয়ন দেয়া হয়।
এরপর গত দশম অধিবেশন থেকে একাদশ অধিবেশন শুরুর আগের দিন পর্যন্ত প্রয়াত সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নামে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
যাদের জন্য শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রী বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদুর রহমান টিটো।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচি শেখ রাজিয়া নাসের, প্রধানমন্ত্রীর বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ, মহিলা পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আয়েশা খানম, সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা, একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রাবেয় খাতুন, ভাষা সৈনিক মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া, সাবেক সচিব ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মনজুরে মওলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান।
শোক প্রস্তাব আনা হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা আলী যাকের, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান, বীর উত্তম ক্যাপ্টেন আকরাম, বিশিষ্ট অভিনেতা আব্দুল কাদের, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের জন্যও।
পশ্চিমবঙ্গের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতেও সংসদ শোক প্রকাশ করেছে।
এর বাইরে প্রাণঘাতী করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে যে সকল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন-পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।