বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর উত্তোলনে বাধা কাটল

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:২৫

পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছানাকান্দি ও লোভাছড়ার পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনে স্থগিতাদেশের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এর ফলে ওই অঞ্চলের পাথর উত্তোলনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাবিব উন নবী। তিনি বলেন, ‘ভোলাগঞ্জে পাথর তোলায় স্থগিতাদেশ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এখন পাথর উত্তোলনে আর কোনো বাধা রইলো না।’পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছানাকান্দি ও লোভাছড়ার পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত। সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। পরে আন্দোলনে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন পরিবহন ব্যবসায়ীরাও। কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের দাবিতে গত মাসে টানা তিনদিন ধর্মঘটও করে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা।সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর আহরণের অনুমতি প্রদানের দাবিতে প্রায় চার মাস ধরে আন্দোলন করছেন তারা। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী, খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ সব পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের কাছে একাধিকবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। যদিও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে পরিবেশকর্মীরা পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে উত্তোলনের ফলে সিলেটের কোয়ারিগুলোতে পাথরের স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যা খালি হাতে তোলা সম্ভব নয়। এগুলো তুলতে এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা। যা ‘বোমা মেশিন’ নামে পরিচিত। এই যন্ত্রগুলো পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ। আবার অনুমতি পেলে ব্যবসায়ীরা এসব যন্ত্র দিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করবেন।’ কেবল পরিবেশ ধ্বংস নয়, অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে সিলেটের কোয়ারিগুলোতে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর হিসেবে, সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৬ জন পাথর শ্রমিক নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর