পারিবারিকভাবে বিয়ে দুই বছর আগে। সংসারে শান্তি আসেনি। ঝগড়াঝাটি, মতের অমিল। শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা। আর এরপরে যা হয়েছে, তা দেখে বিস্মিত খোদ পুলিশ।
পুলিশ বলছে, স্ত্রীকে মীমাংসার কথা বলে ডেকে এনে পাঁচ সঙ্গীসহ ধর্ষণ করেছেন ওই ব্যক্তি। আর ভুক্তভোগী নারীটি মামলা করার আগেই পালিয়ে যায় সন্দেহভাজনরা।
ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ওই নারীর অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ দিন চিকিৎসা নিয়ে এসে রোববার দুপুরের দিকে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন তিনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুকুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, ওই নারী প্রথম মামলাটি কী নিয়ে করেছেন, সেটা তারা এখনও জানতে পারেননি। ওই মামলাটি বেশ কিছুদিন আগের। সেটি এখন আদালতে।
ওসি জানান, বিয়ের পর থেকে দুই জনে খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ানে থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে বিবাদের পর থেকে তিনি আলাদা থাকেন গাজীপুরে মায়ের বাড়িতে।
খিলগাঁও থানায় করা মামলায় বাদী বলেন, গত ১২ জানুয়ারি তার স্বামী তাকে মীমাংসার কথা বলে ডেনে আনেন খিলগাঁওয়ের বাসায়। সাড়া দিয়ে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আসেন তিনি। কিন্তু কথাবার্তায় উত্তেজনা প্রশমন হয়নি।
এরপর স্বামীসহ ছয় জন তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি গাড়ি ভাড়া করে যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে এসে আজ দুপুরে মামলা করেন।
ওই নারীর স্বামী পেশায় এক জন দর্জি। তিনি এখন এলাকায় থাকেন না।
ওসি ফারুকুল আলম বলেন, ‘অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব। এরপর বিস্তারিত জানতে পারব।’