হত্যা চেষ্টা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমানচন্দ্র মণ্ডলের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক মামলাটি করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি রবিউল আওয়াল সোহেল, জামায়াত নেতা হাফেজ মো. আফজাল হোসেন, মো. মজিবুর রহমান, মো. আব্দুল করিম ও মো. আব্দুল হালিম।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি বাদী রাজধানীর মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সে বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করতে যান। এমন সময় এক যুবক এসে সালাম দিয়ে জানতে চান, ‘আপনি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক? আপনি কি সেই ব্যক্তি যিনি খালেদ জিয়া, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন?’
বাদীর ওই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহ হয় এবং দ্রুত গাড়িতে এসে বসেন। এরপর ওই ব্যক্তি গাড়ি থামানোর জন্য বলেন। ড্রাইভার গাড়ি না থামিয়ে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা ‘ধর ধর’ বলে দৌঁড়াতে থাকেন। ওই সময় গাড়ি দ্রুত চালিয়ে যাওয়ায় বাদী প্রাণে রক্ষা পান বলে মামলায় বলা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদী খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, তারা সবাই বিএনপির মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি রবিউল আওয়াল সোহেলের গুন্ডাবাহিনীর সদস্য। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, বাদীকে ধরে রবিউল টাওয়ারে নিয়ে আটকে রেখে খুন করা।
রবিউল আউয়াল সোহেলের থেকে অর্থ নিয়ে জামাত নেতা ও মাদ্রাসার শিক্ষক আফজাল হোসেন, মো. মজিবুর রহমান, মো. আব্দুল করিম, আবদুল হামিদ এবং নাম-না-জানা জামায়াত শিবিরের কিছু ছাত্র রবিউল ক্যাডার বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করেন বাদী।