মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের একমাত্র টিকা তৈরির উদ্যোগ ব্যানকোভিড বা বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের (পরীক্ষার) জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) আবেদন করা হয়েছে।
এ টিকা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ বলেন, নৈতিক ছাড়পত্রের অনুমোদন পেলে শতাধিক মানুষের ওপর এ পরীক্ষা করা হবে। এ পরীক্ষা পরিচালনা করবে সিআরও প্রতিষ্ঠান সিআরও লিমিটেড। এ জন্য কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বে করোনাভাইরাসের যে ধরনটি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, সেই ডি-৬১৪জি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ‘কাজ করবে’ তাদের টিকা ‘ব্যানকোভিড’।
ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের দাবি, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে।
গ্লোব বায়োটেক এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সায়েন্স আর্কাইভ ‘বায়োআর্কাইভ’-এ দিয়েছে। তবে এখনও ওই গবেষণাপত্রের পিআর রিভিউ (প্রকাশ পূর্ববর্তী পর্যালোচনা) হয়নি।
গত ৩ জুলাই তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টার ঘোষণা দেওয়া হয়।
টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআরবির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করলেও পরে তা বাতিল করে গ্লোব বায়োটেক।