রাজধানীর কাকরাইলে স্ত্রী-সন্তান হত্যায় স্বামীসহ তিন জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালতের বিচারক রবিউল আলম এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা আবদুল করিম, শারমিন মুুুক্তা ও জনি।
১০ জানুয়ারি এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আলোচিত এই মামলার তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। এ দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির একটি বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম ও ছেলে শাওনকে গভীর রাতে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন রাতে নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী রমনা থানায় মামলা করেন।
মামলায় আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি শারমিন মুক্তা
এরপর রমনা থানার পুলিশ শামসুন্নাহারের স্বামী ব্যবসায়ী আবদুল করিম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওই বছর ৩ নভেম্বর গভীর রাতে গোপালগঞ্জ থেকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৫ নভেম্বর জনিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। জনিকে ছয় দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।
রিমান্ড চলাকালে ৮ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন জনি। পরে আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তাও জবানবন্দি দেন।
আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম ও ছেলে শাওন
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী হোসেন।
ওই বছরের ৩১ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গত বছরের ১ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়। ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল।