১৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত চুয়াডাঙ্গার পুরাতন জেলা কারাগার। এখানে জজ আদালত ভবন তৈরির কথা থাকলেও সেই কাজের এখনও কিছুই শুরু হয়নি। চলছে শুধু কাজের দায় এর ওর ওপর চাপানো।
এই কারাগার তৈরি করা হয় ১৯১৩ সালে। তখন এটি কুষ্টিয়া মহকুমার উপকারাগার ছিল। পরে একে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার করা হয়। দিন দিন বন্দির সংখ্যা বাড়তে থাকলেও কারাগার বর্ধিত হয়নি।
স্থান সঙ্কট মেটাতে জেলার ভিমরুল্লায় তৈরি হয় নতুন জেলা কারাগার। ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পুরাতন কারাগার থেকে বন্দিসহ সবকিছু সরিয়ে নেয়া হয় নতুন কারাগারে।
সে বছরই পুরাতন কারাগার পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
ভবনটি এখন পরিণত হয়েছে অপরাধীদের আশ্রয়স্থলে। সেখানে নিয়মিত বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। এরই মধ্যে চুরি হয়ে গেছে লোহার দরজা, জানালা। খুলে নেয়া হচ্ছে ইটও।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও জুডিশিয়াল শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘পুরাতন কারাগারের স্থানে জজ আদালত ভবন নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত গণপূর্তেরই এটা রক্ষণাবেক্ষণের কথা।’
এই কর্মকর্তা জানান, সরকারি জমিতে কাজ করার আগে জমি অধিগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরুই করেনি।
গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী সফিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের ওই পরিত্যক্ত কারাগার বুঝিয়ে দেয়নি। আমাদের কাছে পুরাতন কারাগরের কোনো চাবি নেই। সেই হিসেবে এখন জেলারেরই দায়িত্বে ওই পরিত্যক্ত কারাগার।’
তবে জেলার সমস্ত দায় চাপিয়েছেন গণপূর্ত বিভাগের ওপর।
কারাগারের জেলার শওকত হোসেন বলেন, ‘গণপূর্তের জায়গা। স্থাপনাও তাদের দায়িত্বে থাকার কথা।
‘আমরা যখন ওই পরিত্যক্ত কারাগার ছেড়ে দিয়ে নতুন কারাগারে যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করেছি তখন তাদের চিঠি দিয়ে অবগত করা হয়েছে। অথচ তারা এখন চাবি দেয়া হয়নি বলে দায় এড়াচ্ছে।’