সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবি-বিএসএফের সম্মেলনে অঙ্গীকার প্রকাশের দুই সপ্তাহের মধ্যেই লালমনিরহাট সীমান্তে রক্ত ঝরল এক বাংলাদেশির।
শুক্রবার ভোরে পাটগ্রামের ঝালাঙ্গী সীমান্তে রাবার বুলেটে বিদ্ধ হয়ে রক্তক্ষরণে মারা যান আবুল কালাম আজাদ নামে একজন।
কালাম পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাঙ্গী গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
পাটগ্রাম থানা পুলিশ জানায়, কালামসহ ছয় থেকে সাত জন গরু পারাপারকারী শুক্রবার ভোরে ঝালাঙ্গী সীমান্তের ৮৪৮ নং মূল পিলার দিয়ে ভারতের ভেতরে যান।
এ সময় কোচবিহার জেলার ১৪০ বিএসএফ দুড়াডাবরি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়ে। বেশ কিছু গুলি কালামের গলা ও মুখে বুলেট বিদ্ধ হয়।
সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে দেশের ভেতরে নিয়ে আসে। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ পাটগ্রামে আনা হয়।
রংপুর ৬১ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ডিসেম্বরের শেষে ভারতে বিজিবি-বিএসএফের সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামানোর অঙ্গীকার করা হয়
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
ঝালঙ্গী বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার জালাল সর্দার গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, সঙ্গীরা কালামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর নেয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
গত ডিসেম্বরেও লালমনিরহাট সীমান্তে বেশ কয়েকজন বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
ডিসেম্বরের শেষে ভারতে বিএসএফ-বিজিবির বৈঠকে হত্যা বন্ধে সীমান্তে যৌথ টহলের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল সংলাপেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেদিন মোদি জানান, তার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী আর প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করবে না।