বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিমাসে এলপি গ্যাসের দাম ঠিক করায় রাজি না ভোক্তারা

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:২৭

২০০৯ সালে সাড়ে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে এই গ্যাসের দাম কয়েক দফা কমলেও দেশে গণশুনানি করে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি।

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বা সিলিন্ডারে গ্যাসের দাম বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। তাই দেশের বাজারেও এলপিজির দাম প্রতি মাসে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

কিন্তু ভোক্তারা এতে রাজি নয়। তারা বলেছেন, এতে ভোক্তার হয়রানি বাড়বে। তাছাড়া প্রতি মাসে দাম নির্ধারণ আইনসিদ্ধও নয়।

দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণের এই গণশুনানি আয়োজিত হয় রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ শুনানির প্রথম দিন বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির প্রস্তাবিত দামের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সরকারি প্রতিষ্ঠান লিকুইডিফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস লিমিটেড (এলপিজিএল)।

শুনানিতে ভোক্তা সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম যে দাম প্রস্তাব করেন, তাতে রাজি হননি এলপিজিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান খান।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে সাড়ে ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে এই গ্যাসের দাম কয়েক দফা কমলেও দেশে গণশুনানি করে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি।

গণশুনানিতে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৭২ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করে মূল্যায়ন কমিটি। এতে সরকারি কোম্পানির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭০০ টাকা ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর জন্য ১ হাজার ২৫৯ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে সরকারি কোম্পানির জন্য ৯০২ টাকা আর বেসরকারি কোম্পানির জন্য ৮৬৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

এলপিজির দাম পুনর্নির্ধারণ বিইআরসির কাছে বার বার দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় ক্যাব। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আদালতের নির্দেশেই দাম নির্ধারণের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে গড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত হয় এই গণশুনানি।

শুরুতে এম শামসুল আলম একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন তুলে ধরে কমিশনকে প্রশ্ন করেন, ‘২০১২ সালে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করে বিইআরসি জ্বালানি বিভাগে জমা দিয়েছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত সেটা পাস হয়নি। এই দায়দায়িত্ব কার?’

এম শামসুল আলম আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সংসদে আইন করে বছরে একাধিকবার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির যে সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে, তাও এভাবে মাসে মাসে মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগকে সমর্থন করে না।’

মাসে মাসে এই দাম বৃদ্ধিকে তিনি চিনি শিল্পের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এতে সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে। ফলে চিনি শিল্পের মতো পরিণতির দিকে যাবে।

২০০০ সালের পরে দেশে বেসরকারি খাতে এলপিজির ব্যবসা শুরু হয়। বাজারে এর চাহিদা ও ব্যবসার বিস্তৃতি বাড়লেও এত দীর্ঘ সময়েও গ্রাহকের জন্য এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা যায়নি।

গণশুনানিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা জোনায়েদ সাকি, অটোগ্যাস মালিক সমিতির মহাসচিব (প্রস্তাবিত) হাসিন পারভেজ, মোবাইল ফোন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহিউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও ভোক্তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

শুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল-ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি কোম্পানির পক্ষে এলপি গ্যাস লিমিটেডের ফজলুর রহমান এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পক্ষে ছয় জনের একটি প্রতিনিধিদল দামের প্রস্তাব উপস্থাপন করে।

লাইসেন্সধারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওমেরা গ্যাসের সিইও শামসুল হক আহমেদ, বেক্সিমকো এলপিজির সিএফও মুনতাসির আলম, বসুন্ধরা এলপিজির প্রতিনিধি জাকারিয়া জালাল শুনানিতে অংশ নেন।

এ বিভাগের আরো খবর