বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পি কে হালদারের সহযোগীদের হাজার কোটি টাকা জব্দ

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:০২

কানাডায় অবস্থানকারী এই ব্যাংকারের বিরুদ্ধে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। সহযোগীদের ব্যাংক হিসাবে মিলেছে এক হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকা ব্যাংকার পি কে হালদারের সহযোগীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

কানাডায় অবস্থানকারী এই ব্যাংকারের সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা এক হাজার ৫৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'পিকে হালদারের ইস্যুটা তো অনেক বড়। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তার বিভিন্ন দিকে সূত্র আছে। ইতোমধ্যে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মোটামুটি জানা গেছে, ৬২ জনের সঙ্গে তার লিংকের সূত্র পাওয়া যায়।’

যাদের অর্থ জব্দ করা হয়েছে তাদের তাদের মধ্যে আছেন জাহাজ মালিক সমিতির নেতা নড়াইলের লোহাগড়ার উপজেলার ইতনা গ্রামের বাসুদেব ব্যানার্জী, পাপিয়া ব্যানার্জী, একই গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ব্যাংকার নওসেরুল আলম এবং মমতাজ বেগম। শেষোক্ত দুই জন ব্যবসায়িক অংশীদার।

পিকে হালদার সংশ্লিষ্টতায় তার বান্ধবী অবান্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ হয়ে গেলে আমরা জানাতে পারব।'

অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। সম্প্রতি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়ে। এ জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন, যেন দেশে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা না হয়।

তবে উচ্চ আদালত হালদারকে দেশে আসার অনুমতি দিয়ে তাকে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। আর তাকে ধরে আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে সাহায্য চেয়েছে দুদক। আর ইন্টারপোল তার বিষয়ে জারি করেছে রেড অ্যালান্ট।

অভিযোগ আছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে বিভিন্ন কৌশলে দেড় হাজার কোটি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দুই হাজার কোটি টাকা বের করে বিদেশে পাচার করেছেন পি কে হালদার।

দুদকের করা মামলায় বলা হয়েছে, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পি কে হালদার। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে থাকা ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে কৌশলে তিনি ও তার সহযোগীরা অর্থ আত্মসাৎ করেন।

অবৈধ সম্পদের মামলা

দুদক সচিব জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের কাজী আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমী রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে র‌্যাবের অভিযানে ঢাকায় ক্যাসিনো কারবারে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। সে সময় কাজী আনিসের কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাকে বহিষ্কার করে যুবলীগ।

তার ঢাকার কলাবাগানের পাঁচতলা একটি ভবন, দুটি ফ্ল্যাট এবং পাঁচটি দোকান, গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের বাড়ি-পেট্রোল পাম্পসহ বিপুল পরিমাণ জমিও জব্দ করা হয়েছে।

মোকসেদপুরের বোয়ালিয়ায় বিলসাবহুল বাড়ি, একটি পেট্রোল পাম্প, ৩০ কোটি টাকার ১৫ বিঘা জমি ও কেরাণীগঞ্জে ৪০ কাঠা জমি পেয়েছে দুদক। তার ব্যাংকে ৫০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্যও মিলেছে।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ সালে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তাকে সংগঠনের উপ-দপ্তর সম্পাদক এবং ছয় মাস পর দপ্তর সম্পাদক করা হয়।

২০১৯ সালের অক্টোবরে আনিস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ক্যাসিনোর কারবারের মাধ্যমে’ ঘোষিত আয়ের বাইরে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয।

কানাডায় অর্থপাচারে কারা

দুদক সচিব জানান, পাচার করা অর্থে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে যারা বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনেছেন তাদের পরিচয় চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্ব স্ব এজেন্সির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের জানাবে।

এটি কমিশনের নিয়মিত কাজের অংশ বলে তিনি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর