বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড়পুকুরিয়া খনির ২২ জনকে কারাগারে পাঠানোর পর দিনই জামিন

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:১৮

২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লার হিসাব মেলেনি। তবে কয়লাখনির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেটি সিস্টেম লস। শতকরা হিসাবে এই সিস্টেম লসের পরিমাণ একেবারেই নগণ্য যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি হারের চেয়ে কম। 

বড়পুকুরিয়া খনির কয়লার হিসাব না মেলার মামলায় কারাগারে পাঠানোর পর দিনই জামিনে মুক্তি পেলেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ছয় এমডিসহ ২২ কর্মকর্তা।

দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাদের মুক্ত করা হয়।

আসামীপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান জাহানী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জামিনের নিষেধাজ্ঞা এনে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে রিট করে। সেই রিটের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।’

‘সেই অবস্থায় বুধবার ২২ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে দিনাজপুর স্পেশাল জজ আদালত। পরে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রিটের কাগজপত্র স্পেশাল জজ আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাদের জামিন দেয় একই আদালত।’

বুধবার সন্ধ্যায় জামিন মঞ্জুর হলেও আদেশের কপি নির্দিষ্ট সময় জেলা কারাগারে না পৌঁছানোয় রাতে তাদের মুক্ত করা যায়নি বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।

বুধবার দুপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লার হিসাব না মেলার মামলায় ওই ২২ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম।

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার ২২ আসামি আদালতে। ছবি: কুরবান আলী

মামলার আসামিরা হলেন সাবেক ছয় এমডি আব্দুল আজিজ খান, খুরশিদ আলম, কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও হাবিব উদ্দীন আহমেদ।

অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলী।

২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লার হিসাব মেলেনি। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা।

এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। ছবি: নিউজবাংলা

মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর মারা যান মামলার আরেক আসামি সাবেক এমডি মাহবুবুর রহমান।

তবে কয়লাখনির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে কয়লার হিসাব পাওয়া যায়নি, সেটি সিস্টেম লস। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কয়লা পরিবহনের সময় কিছু পরিমাণ নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ক্ষতি হয়েছে কিছু। আবার খনি থেকে তোলা কয়লা শুকিয়ে আদ্রতা কমায় ওজন কমেছে।

শতকরা হিসাবে এই সিস্টেম লসের পরিমাণ একেবারেই নগণ্য যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি হারের চেয়ে কম।

এ বিভাগের আরো খবর