যুক্তরাজ্য থেকে ফেরা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে ১৭টি হোটেল নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদেরকে নিজ খরচেই সেখানে থাকতে হবে। এর জন্য সেবামূল্যও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে হোটেলগুলো তালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
যুক্তরাজ্যে দ্রুত সংক্রমণশীল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন শণাক্ত হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই অনুশাসন দেয়ার পর দিন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১ জানুয়ারি থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারণ করা হোটেলগুলোর মধ্যে আছে: বারিধারার এসকট দ্য রেসিডেন্ট লিমিটেড ঢাকা, এসকট প্যালেস লিমিটেড ও ডেইজ হোটেল।
হোটেলগুলো হলো: গুলশানের দি ওয়েস্টিন ঢাকা, লংবিচ স্যুটস, লেক ক্যাসেল, হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরি, হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইজি ও আমাজন লিলি লেকভিউ রেসিডেন্স।
বনানীর প্লাটিনাম হোটেল বাই শেলটেক, হোটেল আফতাব আওয়ারস রেসিডেন্টস, গোল্ডেন টিউলিপ ও সুইট ড্রিম।
উত্তরার হানসা, মুনসুন ইন ও বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস ম্যাপল লিফ ও কারওয়ান বাজারের হোটেল লা ভিঞ্চি।
কোয়ারেন্টিন সুবিধায় তালিকাভূক্ত হোটেলগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ এর বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, হোটেল গ্রেস ২১, বনানীর অমনি রেসিডেন্সি, উত্তরার হোটেল এফোর্ড ইন, হোয়াইট প্যালেস হোটেল, মেরিনো রয়েল হোটেল ও মেমেন্টো হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।