ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালতের একজন বিচারকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন এক মামলার বাদী।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের হাকিম (সিএমএম) এর কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন তিনি। পরদিন বুধবার সাত দিনের ছুটিতে গেছেন বিচারক।
ওই বিচারক সিএসএম আদালতে বিচারিক হাকিম হিসেবে দায়িত্বরত। অভিযোগে বলা হয়, বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলা করার পর বিচারক অভিযোগের বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে বাদীর পরিবার আদালতে হাজির হয়। ভুক্তভোগী ওই নারী ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় জবানবন্দি দিতে যান। তখন বিচারক দরজা ও জানলা বন্ধ করে দেন।
তিনি নারীকে বলেন, ‘এটা তো মিথ্যা মামলা। এই মামলা তো কোনো আদালত নেবে না।’
অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীর কোথায় আঘাত করা হয়েছে তা দেখতে ম্যাজিস্ট্রেট তার বোরখা খুলে ফেলেন। পরে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে শুরু করেন। বলেন, তার কথা না শুনলে পুলিশে দেয়া হবে ।
তখন ওই নারী কোনোমতে মুক্ত হয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। পরে তিনি সিফাতুল ইসলাম সোহাগ নামে ঢাকা বারের একজন আইনজীবীর সহায়তায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগের অনুলিপি ঢাকার মহানগর দায়রা আদালতের বিচারক, জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক, ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতিকে দেয়া হয়েছে।
তবে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেনকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো বিচার বা অভিযোগ এখনও আসে নাই। এ বিষয়টি হচ্ছে প্রশাসনিক বিষয়। তাই আমাদের এখানে কিছু করার নাই।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনজীবী সমিতির একজন নেতা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে । তবে আইন মন্ত্রণালয় এখনও কিছু জানায়নি।
‘বিচারকরা বিষয়টি নিয়ে বসেছেন এবং কনক বড়ুয়া সাত দিনের ছুটিতে গেছেন । বাকি সিদ্ধান্ত আগামীকাল জানা যাবে।’