নৌকায় করে মিরপুরে রূপনগর থেকে তুরাগ নদ পর্যন্ত যেতে চান ঢাকার উত্তর অংশের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এই ভ্রমণে খালের তীরে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে সেগুলো উচ্ছেদ করতে চান তিনি।
বুধবার রূপনগর খালটি পরিদর্শন করে এ কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র।
পরে দখল পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
খালপারে আগেই উচ্ছেদ করা জায়গায় দুটি গাছের চারাও রোপন করেন তিনি। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ তিনি নৌ-ভ্রমণের এই পরিকল্পনার কথা জানান।
রূপনগর খালটির শুরু মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পশ্চিম প্রান্তে আলমের টেক থেকে। সেখান থেকে খালটি শিয়ালবাড়ি হয়ে রূপনগর আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে দুয়ারিপাড়া ও আলোকদী গ্রাম ছাড়িয়ে তুরাগ নদে মিশেছে। সব মিলিয়ে খালটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটারের বেশি।
এই খাল দিয়েই মিরপুর ১, ২ ও ৬ নম্বর এবং রূপনগর আবাসিক এলাকার অধিকাংশ পানি ও বর্জ্য বেরিয়ে তুরাগ নদে মেশে। কিন্তু ৬০ ফুট প্রস্থের এই খালটি দখল হতে হতে কোথাও ১০ ফুট, কোথাও ২০ ফুট আবার কোথাও ২৫ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে।
খালটি দখলমুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে মেয়র আতিকুল বলেন, ‘এটা করতে পারলে গোটা মিরপুর এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটা কমে আসবে।’
সব অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে জন্য দখলদারদের প্রতি আহ্বান জানান আতিকুল।
২৩ নম্বর সড়ক থেকে খালপার ধরে মিরপুর কমার্স কলেজ রোড পর্যন্ত আগেই উচ্ছেদ করা জায়গায় ওয়াকওয়ে নির্মাণের ঘোষণাও দেন মেয়র।
তিনি বলেন, ‘কমার্স কলেজসহ এই এলাকায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যে কারণে প্রতিদিন সকাল-বিকাল শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় রূপনগর আবাসিকের মূল সড়কটির ওপর খুব চাপ পড়ে।
‘যদি খালপার ঘেঁষে একটা ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেন নির্মাণ করা যায় তাহলে যেমন যানজট কমে আসবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।’
নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ’সবার ঢাকা’ অ্যাপ চালুর কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘নগরবাসী সিটি করপোরেশনকে যে হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) দেন, আগামী মার্চ মাস থেকে তা ঘরে বসেই দেয়া যাবে। সে ব্যবস্থা আমরা করছি।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মেয়র সেখানে উপস্থিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন।