ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আন্দোলনের পর রাতের আঁধারে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক মু. আবুল কাশেম।
মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে স্বস্ত্রীক ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮ দিন আগেই ক্যাম্পাস ছাড়লেন তিনি।
যাওয়ার আগে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে নোট দিয়ে গেছেন অধ্যাপক মু. আবুল কাশেম।
ক্লাশ-পরীক্ষা চালুর দাবি ও বৈরি আচরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ।
পরে দাবি আদায়ে উপাচার্যের বাসভবনের দরজায় বসে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। উপাচার্য পরে তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফজলুল হক জানান, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় সন্তোষজনক সমাধান হয়। কিন্তু সকালে জানতে পারেন, উপাচার্য রাত সাড়ে তিনটার দিকে পরিবার নিয়ে বাসভবন ছেড়ে চলে গেছেন।
যাওয়ার সময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব দেয়ার জন্য নোট দিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।
রেজিস্ট্রার ফজলুল হক বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার সময় উপাচার্য আমাকে ফোনে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ঢাকায় চলে গেছেন। কিন্তু বিষয়টি আমরা কেউ নিশ্চিত নই, তিনি কোথায় গেছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা রিয়াদ খান ও মোর্শেদুল হাসান রনি জানান, রাত ১০টার দিকে বৈঠকে উপাচার্য তাদের সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর তারা বাসভবনের সামনে থেকে চলে আসেন। বুধবার সকালে তারা জানতে পারেন উপাচার্য ঢাকায় চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্যের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।