দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লার হিসাব না মেলার মামলায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ছয় এমডিসহ ২২ কর্মকর্তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম এই আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন সাবেক ছয় এমডি মো. আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলী।
দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন জানান, বুধবার মামলাটির চার্জ গঠনের শুনানি ছিল। মামলার আসামিরা আদালতে এসে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা।
এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
পরে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মারা যান মামলার আরেক আসামি সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান।