বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিজার্ভ চুরি, ৪৭ বারেও জমা পড়ল না প্রতিবেদন

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:২২

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা তারা ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়। ১৫ মার্চ মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো প্রতিবেদন চেয়েছিল আদালত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির মামলায় ৪৭ বার সময় নিয়েও প্রতিবেদন দিতে পারল না সিআইডি।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থাটির আবেদনের পর বিচারক আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এই আদেশ দেন।

মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা তারা ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়।

দেশীয় কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এর পেছনে উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

তদন্তে নামে সিআইডি। প্রতিবেদন দাখিলে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দিন ঠিক করে দেয় আদালত।

এরপর গত চার বছরে দফায় দফায় সময় আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে তারা।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় রিজার্ভ চুরির ফিলিপাইনের ঘটনায় রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের মার্চে সে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার খবর আসে গণমাধ্যমে।

রিজল ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশের পর সেই ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়েও দেয় ফিলিপাইনে। বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

এ বিভাগের আরো খবর