সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যেতে পিকে হালদারকে সহযোগিতার দায়ে তার বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুপুর একটার দিকে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে।
দুদকের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য নিউজবাংলাকে জানান, পি কে হালদারের টাকা পাচার, জনগণের জামানত লুটপাটসহ নানা অনিয়মে অবন্তি বড়ালের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ তদন্তে উঠে এসেছে।
কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও দুদকের ডাকে সাড়া দেননি তিনি। বর্তমানে অবন্তিকাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার ও অবন্তিকা বড়ালসহ ২৫ জনের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
তারা জানান, প্রয়োজনে দুদক এই ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় চলে যাওয়ার অভিযোগ আছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। ফাইল ছবি
পি কে হালদারের প্রতারণার শিকার হওয়ার দাবি করে ভুক্তভোগী পাঁচ জন বিনিয়োগকারী ২৫ জনের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনকারীরা হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে নাশিদ কামাল, সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকতুর রহমান, সামিয়া বিনতে মাহবুব, খালেদ মনসুর ট্রাস্টের পক্ষে তরিকুল ইসলাম।
সামিয়া বিনতে মাহবুব নামের এক বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে টাকা ফেরত চাই। এ জন্য যা যা করা দরকার তাই করব। পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার ও অবন্তিকা বড়ালসহ সকলকে আটক করলেই পিকে হালদারকে ফেরানো সম্ভব হবে।’
গত বছরের শুরুতে পি কে হালদার কানাডায় পালিয়ে যান বলে তথ্য পাওয়া যায়। এরপর তার পাসপোর্ট, সম্পত্তি জব্দ করা হয়। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে তাকে অপসারণও করা হয়।
৮ জানুয়ারি তাকে ধরতে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।