সরকারের বিরুদ্ধে অনলাইনে অপপ্রচারের জবাব দিতে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ গড়ে তোলার আহ্ববান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে যারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, তাদের বিপক্ষে সবাইকে সত্য প্রচারে গড়ে তুলতে হবে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ।
‘মাঠের রাজনীতিতে সফলতা না পেয়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে। কোনো অপপ্রচারই বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, আর্থসামাজিক খাতসহ প্রতিটি খাতে অর্জন করে চলেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এসব অর্জনের ধারাকে বর্ণিল করে তুলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের আইসিটি খাতে ইতোমধ্যেই ঘটেছে নীরব বিপ্লব, রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত জনপদে আজ হাতের মুঠোয় বিশ্ব যোগাযোগের নেটওয়ার্ক।’
তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র এখনেও বিকাশমান ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতে নানান ঘাত-প্রতিঘাতে শিশু গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার পথে।
‘দেশের মানুষ ১/১১-এর স্মৃতি এখনও ভুলে যায়নি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে বিএনপি ২০০৬ সালের শেষ দিকে যেন-তেন নির্বাচন দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপপ্রয়াস চালায় বিএনপি।’
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি বড় ক্ষত তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে জনগণের ভোটাধিকার হরনের অপচেষ্টা এবং একগুঁয়েমির কারণে সৃষ্টি হয়েছিলে এক-এগারো। বাধাগ্রস্ত হয়েছিল গণতন্ত্রের চলমান ধারা।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইলে সরকারকে সহযোগিতা করুন, একদিকে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলবেন, অপরদিকে অগণতান্ত্রিক কাজ করলে গণতন্ত্রের শত ফুল বিকশিত হওয়ার পথ বিঘ্নিত হবে।’