বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশকে ‘মারধর’: যশোর পৌর আ. লীগ সম্পাদক আটক

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:২৬

পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন মঙ্গলবার সকালে জানান, বিপু ও তার লোকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আইন ভঙ্গ করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

যশোরে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শহরের পুরাতন কসবা শহীদ মিনার এলাকায় সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই ঘটনার পরপরই তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাইনসে দায়িত্বরত কনস্টেবল ইমরান সাধারণ পোশাকে শহরের পুরাতন কসবা শহীদ মিনারে বসে এক নারীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মী তার ওপর চড়াও হয়।

নিজের পরিচয়পত্র দেখিয়ে এর প্রতিবাদ করেন কনস্টেবল ইমরান। কিন্তু তাকে শহীদ মিনার থেকে ধরে পাশের আবু নাসের ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্য জানান, আবু নাসের ক্লাবে নেয়ার পর সেখানে যান শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু। এরপর ওই পুলিশ সদস্যকে পুরাতন কসবা কাঁঠালতলায় নিয়ে বেদম মারধর করা হয়।

তিনি আরও জানান, এর মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েক সদস্য শহীদ মিনার ও কাঁঠালতলায় যায়। পরে যারা ইমরানকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারাই তাকে শহীদ মিনার এলাকায় রেখে যায়।

এ ঘটনার পরপরই মাহমুদ হাসান বিপুসহ চার জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘সেখানে (শহীদ মিনারে) দুই পক্ষের মধ্যে একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে ওসি মো. মনিরুজ্জামানসহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু শহীদ মিনারে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।’

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন মঙ্গলবার সকালে জানান, বিপু ও তার লোকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে আইন ভঙ্গ করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ঢাকা থেকে ৩টার দিকে যশোর পৌঁছানোর পর পরবর্তী কর্মসূচী দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, বিপুসহ অন্যদের দ্রুত ছেড়ে দেয়া হবে, এমন মৌখিক আশ্বাস পেয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলন স্থগিত ঘোষণার সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল খালেক অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, কার্যালয় ও সংবাদপত্র অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মারধরও করা হয়েছে।

এ ছাড়া তার বাসভবন ও পৌরসভা কাউন্সিলর গোলাম মোস্তাফার বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে জানিয়ে তিনি এর নিন্দা জানান।

এ বিভাগের আরো খবর