ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে যে দুটি মানহানি মামলা হয়েছে তাতে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার নগর ভবনে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করা দুই ব্যক্তিকে অতি উৎসাহী উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব, তারা যেন তাদের মামলা তুলে নেন। মানহানি আমার হয়েছে, তাই আমি পর্যালোচনা করে মামলা করব।’
তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে তার পক্ষে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে খোকনসহ সাত জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন আইনজীবী কাজী আনিসুর রহমান ও মো. সারওয়ার আলম।
ওই দিন সকালে তাপস সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
এর আগে গত শনিবার হাইকোর্ট এলাকায় এক মানববন্ধনে সাঈদ খোকন অভিযোগ করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তাপস নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। এসব টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে তিনি কোটি কোটি টাকা লাভ করেছেন।
খোকনের মতে, ডিএসসিসির টাকা নিজের ব্যাংকে রেখে সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তাপস।
কিন্তু বর্তমান মেয়র জানালেন তিনি দায়িত্বে আসার আগে থেকেই মধুমতি ব্যাংকে ডিএসসিসির লেনদেন ছিল।
‘আমি দায়িত্বে আসার আগে থেকেই মধুমতি ব্যাংকের সঙ্গে ডিএসসিসির লেনদেন ছিল। সেখানে আমানত রাখা হতো। শুধু আমানত না, সেবা প্রদান কার্যক্রমও ওখান থেকে করা হতো।’
সাকরাইন উৎসব উপলক্ষ্যে বুধবার নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: নিউজবাংলা
তাপস আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ব্যাংকে ৫০ ভাগ আমানত ও বেসরকারি ব্যাংকে ৫০ ভাগ রাখার নিয়ম আছে। এই নিয়ম মেনেই বেসরকারি ব্যাংকে আমানত রাখা আছে। আবার একটা সময় পর এই আমানত সংস্থাতে ফিরে আসে।
এই বিষয়ে আর কথা বলবেন না জানিয়ে তাপস বলেন, ‘এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। আজই আপনারা আমাকে এ বিষয়ে শেষ প্রশ্ন করে নিতে পারেন।’