ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে করা মানহানির দুই মামলার আদেশের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি ঠিক করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলা দুটির বিষয়ে আদেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকার মুখ্যমহানগর (সিএমএম) আদালতের হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই আদেশের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ১১ জানুয়ারি মামলা দুটির আবেদন আদালতে জমা হয়। একটি মামলার বাদী কাজী আনিসুর রহমান। অপর মামলাটির বাদী অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম।
ওই দিন সকালে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথা বলেছিলেন ।
গত শনিবার হাইকোর্ট এলাকার কদম ফোয়ারার সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংহতি জানানোর সময় সাঈদ খোকন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন যে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তাপস নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। এসব টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে তিনি কোটি কোটি টাকা লাভ করেছেন।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন যে, মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে হারিয়ে ফেলেছেন।
মামলাগুলোর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামি সাঈদ খোকনের এই বক্তব্য নিয়ে রোববার বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ডিএসসিসির ভাবমুর্তি নানাভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট সারওয়ার আলম দাবি করেন যে, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে আসামি সাঈদ খোকন বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ৫০০ ধারায় শাস্তিযাযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৫০০ ধারায় অপরাধ আমলে গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও তাকে জেলহাজতে আটক রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হচ্ছে।