চাকরির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্যকে ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখার পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা তালা ঝুলিয়েছে প্রশাসনিক ভবনে।
তালা ঝোলানোর পর মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টার দিক থেকে তারা এ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা উপাচার্য বাসভবনের গেটে তালা দেয়। এতে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ দুই উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মোহাম্মদ যাকারিয়া এবং প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান উপাচার্যের বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এই অবস্থান কর্মসূচির সূত্রপাত সোমবার রাবি রেজিস্ট্রার দপ্তরের অ্যাডহকে এক জন প্রতিবন্ধীকে চাকরি দেয়ার জের ধরে। এরপর থেকে এই নিয়মে চাকরি পেতে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কর্মীরা।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে তারা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হন। উপাচার্যের সঙ্গে দেখাও করেন রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের দল। এরপর ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।
রাবি প্রশাসনিক ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
গোলাম কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি সব ধরনের নিয়োগ বাতিল রাখার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অ্যাডহকে এক জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কেন চাকরি হচ্ছে না সেটি জানতেই আমরা গিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে উপাচার্য আব্দুস সোবহান বলেন, ‘এক জন প্রতিবন্ধী ছেলেকে চাকরি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। যেহেতু নিয়োগ বন্ধে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আছে তাই আমি বিষয়টি সচিবকে জানিয়েছি। তিনি নিয়োগ দিতে বলেছেন, দিয়েছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘এটি শুনে সন্ধ্যার দিকে তারা (ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা) এসে চাকরির দাবি করে। কিন্তু আমি জানিয়েছি, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ বাতিল রাখা হয়েছে। এখন আমি কোনো নিয়োগ দিতে পারব না।’
প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে আমরা জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আখতার ফারুক মারা গেছেন। তখন অবরুদ্ধকারীদের অনুরোধ করলে তারা আমাদের তিন জনকে যেতে দেয়। কিন্তু ভিসি স্যার ভেতরেই ছিলেন।