সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বিচার শুরুর তারিখ আবার পিছিয়েছে।
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে মঙ্গলবার বিচার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। অভিযোগ গঠনের নতুন তারিখ পরে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে আরও এক দফা অভিযোগ গঠনের তারিখ পেছানো হয়।
ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে গত ৩ জানুয়ারি সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এরপর ওই আদালত মামলাটির বিচার শুরুর জন্য পরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। এজন্য ১০ জানুয়ারি তারিখ দেয়া হলেও পরে তা পেছানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাশিদা সাইদা খানম নিউজবাংলাকে জানান, মামলায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে ১৩ জানুয়ারি করা হলেও পরে তা একদিন এগিয়ে মঙ্গলবার করা হয়। কিন্তু এ দিন অভিযোগ গঠন করা হয়নি। বিচার শুরুর তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
এ মামলায় আট আসামির মধ্যে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। মামলার শুনানির সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ওই রাতেই নারীর স্বামী ছয় জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন।
ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সবাইকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পায় পুলিশ।
রিমান্ড শেষে সব আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
কোনো পদে না থাকলেও গ্রেপ্তার সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় ও কলেজ সূত্রে জানা যায়।