নির্বাচনি প্রচার শেষে বাড়ী ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন দিনাজপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে একই পদে প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজান। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে মো. মুন্না নামে এক কর্মীও গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকার আলামিয়া মসজিদে পাশে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজান ওই ওয়ার্ডের টানা দ্বিতীয়বারের কাউন্সিলর। তিনি এবারের তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতির পদে রয়েছেন। হামলায় আহত মুন্না একই এলাকার বাদল হোসেনের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজানের বাম হাত ও বাম পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া মাথা ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে। কর্মী মুন্নার মাথায় ১০টি সেলাই ও বাম হাতে ২টা সেলাই পড়েছে।
আশরাফুল আলম রমজান বলেন, ‘রাতে প্রচার শেষে এক কর্মীর বাসায় যাই। সেখান থেকে ফেরত আসার সময় কসবা আলামিয়া মসজিদের পাশে ৬জন অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। দুর্বৃত্তরা লোহার রড ও হাসুয়া দিয়ে আমার উপর হামলা করে। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে আসলে মুন্নাকে দুর্বৃত্তরা হাসুয়া দিয়ে কোপায়। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা মুখে মাস্ক ও মাথায় মাংকি টুপি পরা ছিল। পড়ে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি কসবা আলামিয়া গোরস্তান কমিটির নির্বাচনে আমি সভাপতি নির্বাচিত হই। এ ছাড়া আমি টানা তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচন করছি। এতে প্রতিপক্ষরা আমার ওপর হামলা করতে পারে বলে আমি ধারণা করছি।’
এদিকে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। হামলার খবর পেয়ে আমি রাত থেকেই তদন্ত শুরু করেছি। তারা অভিযোগ দিলে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।