বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের প্রথম জানাজা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যসহ অনেকে।
জানাজা শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে।
সেখান থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব ও সবশেষে প্রথম আলো কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তার মরদেহ।
তাকে দাফন করা হবে মীরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিজানুর রহমান খান।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৫৩ বছর বয়সী মিজানুর। প্রথমে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অবস্থার উন্নতি না হলে ১০ ডিসেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল তার। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় তাকে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানান চিকিৎসকেরা।
১৯৬৬ সালের ৩১ অক্টোবর জন্ম মিজানুর রহমান খানের বেড়ে ওঠা বরিশালে। বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর হলেও পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতাকে।
তিন দশক ধরে এ পেশায় ছিলেন মিজানুর। প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন তিনি।
মিজানুরের পারদর্শিতার জায়গা ছিল সংবিধান ও আইন বিষয়ে লেখালেখিতে। এ ছাড়া বেশ কিছু গ্রন্থ রয়েছে তার। এগুলোর মধ্যে অন্যতম সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক, ১৯৭১: আমেরিকার গোপন দলিল।