বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসছে বৃষ্টি, এরপর শীত

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৩৭

চলতি শীত মৌসুমের প্রথম দিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় দেশের কিছু এলাকা দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তখন রাজধানীতে মোটামুটি শীত অনুভূত হয়। এরপর দিন যত গড়িয়েছে, শীত তত কমেছে।

মাসের ২৭ দিন পার হতে চললেও পৌষের শীত টের পাচ্ছে না রাজধানীবাসী। শীতের ভরা এই মৌসুমেও দিনের বেলায় অনেককে দেখা যাচ্ছে বসন্তের পোশাকে। রাতের তাপমাত্রাও এমন যে ফ্যান ছেড়ে ঘুমাতে হচ্ছে অনেককে।

অস্বাভাবিক এই আবহাওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে পূবালী বায়ু, আরব অঞ্চল থেকে আসা মেঘ এবং লঘুচাপকে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দুয়েক দিনের মধ্যে এই পরিস্থিতির অবসান হতে পারে। দেশের একটি বড় এলাকায় বৃষ্টির পর কমতে পারে তাপমাত্রা। শুরু হতে পারে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ।

চলতি শীত মৌসুমের প্রথম দিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় দেশের কিছু এলাকা দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। তখন রাজধানীতে মোটামুটি শীত অনুভূত হয়। এরপর দিন যত গড়িয়েছে, শীত তত কমেছে। যেখানে এই সময় দেশে গড় তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ ডিগ্রিতে।

এ সম্পর্কে অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস গত শুক্রবার নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘এখন দিনের তাপমাত্রা গড়ে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে স্থান ভেদে এক থেকে ছয় ডিগ্রি বেশি।’

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘শীতের সময় এমন গরম পড়ার মূল কারণ পূবালী বায়ুর আধিক্য। আরব অঞ্চল থেকে দেশের আকাশে মেঘ ঢুকতেছে। দেশের পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে, সিলেট-কুমিল্লা অঞ্চলে একটা লঘুচাপ আছে। এখন উত্তরের বাতাসের যেমন গতি থাকা উচিত তেমন নেই। এই বাতাস বেশি থাকলে তাপমাত্রা কম থাকে।’

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এই কারণে দিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আবার রাতের তাপমাত্রাও কমছে না। জানুয়ারির ১২ থেকে ১৪ তারিখের পর এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেই পরিবর্তনে যে খুব বেশি শীত পড়বে তা নয়।’

সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৩ জানুয়ারি বুধবার বৃষ্টি হতে পারে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে। এর মধ্য দিয়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। মেঘ কেটে যাওয়ার পর শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ থেকে আকাশ মেঘলা হওয়া শুরু করেছে। আগামীকালও আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। এর পরদিন ১৩ তারিখ দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমতে থাকবে। মেঘ কেটে গেলে ১৪ থেকে ১৫ তারিখের দিকে দেশে হালকা থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।’

তিনি জানান, এ সময় কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘমেয়াদি হলে দক্ষিণ অঞ্চলেও তা বইতে শুরু হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে আট থেকে ১০ ডিগ্রি এবং মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে থাকে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর