বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সাংবাদিক মিজানুরের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি’

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:৫৭

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের এই চলে যাওয়াটা সাংবাদিকতায়, বিশেষ করে, আইন সাংবাদিকতায় বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তার লেখা পড়ে মনেই হতো না যে তিনি আইনজীবী নন। আইন বিষয়ে তার এত স্বচ্ছ ধারণা ছিল যে তা বলার অবকাশ রাখে না। সাহসী সাংবাদিকতা তথা আইন নিয়ে লেখায় উনি পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বলেছেন, তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বিশেষ করে আইন, আদালত ও বিচার বিভাগ নিয়ে তার লেখনীর শূন্যতা অনুভব করবেন আইনজীবী সমাজ ও সাংবাদিকরা।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের এই চলে যাওয়াটা সাংবাদিকতায়, বিশেষ করে, আইন সাংবাদিকতায় বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তার লেখা পড়ে মনেই হতো না যে তিনি আইনজীবী নন। আইন বিষয়ে তার এত স্বচ্ছ ধারণা ছিল যে তা বলার অবকাশ রাখে না। সাহসী সাংবাদিকতা তথা আইন নিয়ে লেখায় উনি পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সাংবাদিকতায় অনন্য মেধা ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রাখা মিজানুর রহমান খানের মৃত্যু সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। সাবলীল ও বিশ্লেষণধর্মী লেখনীর কারণে তিনি দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘মিজানুর রহমান খান আইনের খুঁটিনাটি বিষয় অনুসন্ধান করতেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় বিশ্লেষণ করতেন। বিচার বিভাগ নিয়ে তথ্যবহুল কলাম লিখতেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগৎ এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারাল। আমি মনে করি, আইনজীবী সমাজ, বিচার বিভাগ তার শূন্যতা অনুভব করবে। আমি গভীর শোকাহত।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আমি মনে করি, আইন ও সংবিধান নিয়ে মিজানুর রহমান খানের মতো পাণ্ডিত্য সাংবাদিক সমাজে দ্বিতীয় কারও নেই। তিনি সংবিধান ও আইনকে সহজ ভাষায় জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। তার মৃত্যুতে সত্যিই আইন ও বিচার বিভাগের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’

সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু শোক জানিয়ে বলেন, ‘তার মতো এক জন সাংবাদিকের বিদায় মেনে নেয়া কষ্টকর। তারমতো সাংবাদিককে জাতি স্মরণে রাখবে।’

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আইন সাংবাদিকতার জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

মিজানুর রহমান খানের (৫৩) শরীরে গত ২৭ নভেম্বর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি প্রথমে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে ১০ ডিসেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসার একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার বিকেলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

এ বিভাগের আরো খবর