নারী নির্যাতন বা ধর্ষণের মতো ঘটনায় প্রায়শই ভুক্তভোগীকেই দায়ী করার প্রবণতার সমালোচনা করা হয়েছে একটি কর্মসূচিতে।
রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কিশোরীকে মৃত্যুর ঘটানায় জড়িতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ‘নাগরিক অবস্থান’ কর্মসূচিতে এই সমালোচনা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে কলাবাগান মাঠের সামনে যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের আহ্বায়ক শিবলী হাসান বলেন, ‘সব সময়ই দেখা যায় যখন কোন নারী নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার হন তখন তাকে দোষারোপ করা হয়। আমরা মনে করি আইন করে এই ভিকটিম ব্লেমিং বন্ধ করা উচিত।’
কিশোরী ধর্ষণে জড়িতকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘একটি প্রভাবশালী মহল ওই যুবকের বয়স কম দেখানোর পাশাপাশি ভিকটিমের বয়স বাড়ানোর চক্রান্তে জড়িত।’
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ‘ও’ লেভেলের এক ছাত্রী মারা যাওয়ার পর তার বাবা ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার একমাত্র আসামি মেয়েটির বন্ধু ফারদিন ইফতেখার দিহান, যাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, মেয়েটি দিহানের বাসায় গিয়েছিল। দুই জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। মেয়েটি মারা যায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। তার যৌনাঙ্গের পাশাপাশি পায়ুপথেও রক্ত পাওয়া গেছে।
সামাজিক মাধ্যম, বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনায় মেয়েটিকেই দায়ী করে বলা হচ্ছে, কেন সে ওই বাড়িতে গেল। এর আগেও নানা সময় ধর্ষণের শিকার নারীকেই দায়ী করে নানা কথা বলাবলি হয়েছে।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করুন (স্টপ ভিকটিম ব্লেমিং)-এই শিরোনাম কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
কর্মসূচির উদ্যোক্তা যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোট যাত্রা করে ২০১৫ সালে। এই জোটের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা থাকলেও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এর সদস্য।