কিশোরদের দলগত অপরাধকে দেশের বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। বলেছেন, এই সমস্যা মোকাবিলা করে কিশোরদেরকে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত করতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশে বড় সমস্যা হচ্ছে এখন কিশোর গ্যাং। এই কিশোর গ্যাং কে মোকাবিলা করতে হবে। সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সোমবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে র্যাব সদরদপ্তরে আয়োজিত ‘র্যাব সেবা সপ্তাহ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি।
তিনি বলেন, ‘এই কিশোর-কিশোরীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ তথা ২০৪১ সালের ধনী দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। সেই শিশুরা ড্রাগ নিয়ে বা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হয়ে ধ্বংস হয়ে যাক, সেটা কোনো মতেই বরদাশত করা যাবে না।’
সপ্তাহের অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১ টায় দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা সহায়তা ও বই বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, ‘পরিবারকে জানতে হবে ছেলে বা মেয়ে কোথায়, কার সঙ্গে মেশে, কী করে। এটা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল। এটি অবশ্যই সন্তানের পিতা মাতাকে নিতে হবে।’
‘সন্তান জন্ম দিলে দায়-দায়িত্ব পিতামাতাকে নিতে হবে’- এমন মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, ‘দায়িত্ব নেবেন না তবে জন্ম দিয়েছেন কেন? এটি পিতা-মাতা সামাজিক, নৈতিক দায়িত্ব, ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।
‘সন্তান ছেলে-মেয়ের ভেতর নৈতিকতা, মূল্যবোধের বিষয়গুলো আমাকে ঢুকানো দায়িত্ব পিতা মাতার। নতুন প্রজন্ম সামাজিকভাবে বিলুপ্ত বা বিনাশ হবে তা হতে দেয়া যাবে না। এটা সুস্থ জাতিসত্ত্বার কাজ হতে পারে না।’
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আরও এগিয়ে যাবে জানিয়ে বেনজীর বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যে গতি আছে এটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি ও বেগবান করতে পারি তাহলে দারিদ্র্য, দুঃস্থ শব্দগুলো বাংলাদেশে থাকবে না।
‘এই দারিদ্র্য দূর করার জন্য আমরা ঐক্যভাবে কাজ করছি। তবে আমাদের আরও বেগবান হতে হবে। আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে পরাজিত করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি প্রায়।’
উন্নয়নের বিভিন্ন দিক দিয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘এই অগ্রযাত্রাকে সবাই মিলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশ আমাদের, গণতন্ত্র আমাদের।
‘আমরা একটি নবীন জাতি। আমাদের দেশের মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট হচ্ছে, আমাদের ভাষা এক, আমরা দেখতে এক, গায়ের রঙ এক, সংস্কৃতি এক, মূল্যবোধ এক। যার কারণে আমরা জাতিগত শক্তিতে পরিণত হয়েছি।’
র্যাবের সেবা শুধু এই সপ্তাহে সীমাবদ্ধ থাকবে না জানিয়ে আইজিবি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি সপ্তাহই হবে সেবার সপ্তাহ, আমাদের প্রতিটি মাসই হবে সেবার মাস, প্রতিটি বছর হবে সেবার বছর।’