অধ্যক্ষ পদ নিয়ে জটিলতায় ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কলেজের প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কাজও থমকে আছে।
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর অবসরে যান চমেক অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান। এরপর প্রায় এক মাস ধরে শূন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদটি।
কলেজের কর্মকর্তারা জানান, এখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপাধ্যক্ষ ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তবে তিনি শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। অর্থনৈতিক কোনো কাজের দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়নি। এ কারণে জানুয়ারি মাসের দশ দিন পেরিয়ে গেলেও আগের মাসের বেতন হয়নি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক চমেকের একাধিক শিক্ষক নিউজবাংলাকে জানান, অনেক শিক্ষক বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন না। তারা কলেজের বেতনে সংসার চালান। তারা এখন বেশ কষ্টে পড়েছেন।
এভাবে কোনো সময় বেতন নিয়ে জটিলতায় পড়তে হয়নি বলেও জানান তারা।
একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানান কর্মকর্তার-কর্মচারীরা। তারা নিউজবাংলাকে জানায়, মাসের শুরুতে বেতন পাওয়ার পর পরিকল্পনা করে সংসার চালান তারা। জানুয়ারির ১০ দিন পরও বেতন না হওয়ায় ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের।
একাধিক কর্মচারী নিউজবাংলাকে জানান, করোনার এই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা কলেজের কাজ করে যাচ্ছি। তাদের বেতনও কম। এই বেতন দিয়েই চলে তাদের পরিবার। মাস শেষ হলেও বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
চমেকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। বেতনসহ অর্থনৈতিক কাজের ক্ষমতা দেয়া হয়নি। এই ক্ষমতা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হয়। সেই প্রজ্ঞাপন এখনও জারি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি, শিগগির সংকটের সমাধান হবে।