বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রকল্প প্রস্তাবে অসংগতি মেনে নেয়া হবে না: রেজাউল

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:১৫

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প প্রণয়নে অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। প্রস্তাবে কোনো ধরনের অসংগতি মেনে নেয়া হবে না।অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক কোনো কিছু প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’

অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকার জন্য প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে প্রস্তাবিত মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক কোনো কিছু প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠা প্রত্যাশা করি। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া ছাড়া অর্থ পরিশোধ করলে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প প্রণয়নে অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। প্রস্তাবে কোনো ধরনের অসংগতি মেনে নেয়া হবে না। অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক কোনো কিছু প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

‘বিশেষ কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্য প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ইচ্ছেমতো শর্ত জুড়ে দেয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

সরকারি স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোনো কিছু করা যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের সবটুকু কাজ বুঝে নিতে হবে। দ্রুতগতিতে প্রকল্প গ্রহণ করে শুধু কেনাকেটা না করে সেটা বাস্তবে দেশের মানুষের কাজে আসছে কি না তা লক্ষ রাখতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতার পরিচয় দিলে প্রকল্প নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত আলোচনা হবে না।’

সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৭টি ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের দুটি প্রকল্পের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও মো. তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর