বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হুতি বিদ্রোহীদের হাত থেকে মুক্ত ৫ নাবিক দেশে

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:২১

২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি মাছ ধরার জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়ে ইয়েমেনের হোদিডার আল-সালাইফ বন্দরের কাছে ডুবে যায়। নাবিকদের আটক করে হুতি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হাত থেকে উদ্ধার পাঁচ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এরা ‘হুতি কোস্টগার্ড’র হাতে আটক হয়েছিল। তারা প্রায় ১১ মাস বন্দি ছিলেন।

তবে এই প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ‘ব্রাক অভিবাসন ডেস্ক’ বলছে, উদ্ধারকৃতরা হুতি বিদ্রোহীদের হাতে আটক ছিলেন, হুতি কোস্টগার্ডের হাতে নয়।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধারকৃতরা ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুতি কোস্টগার্ডের হাতে ‘গ্রেপ্তার’ হয়েছিলেন। এরা হলেন: মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। তারা একটি জাহাজে ওমান থেকে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে এবং তারা পেশায় মাছ ধরার জাহাজের (ফিশিং ট্রলার) নাবিক।

মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে ইয়েমেনের হোদিডার আল-সালাইফ বন্দরের কাছে ডুবে যায়।

আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাসকট, কুয়েত ও আম্মান এবং আইওএমের (অভিবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা) সাথে সমন্বয় করেছে। আইওএমের সহায়তায় তাদের ইয়েমনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকার সবচেয়ে বড় শহর সানা থেকে সে দেশেরই আরেক বন্দর শহর আডেনে নেওয়া হয়।

ব্রাক অভিবাসন কর্মসূচীর প্রধান শরীফুল হাসান নিউজবাংলাকে জানান, বাংলাদেশি নাগরিকেরা ‘ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহী’দের হাতে আটক ছিলেন। রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহায়তায় তাদের জরুরি সহায়তা দেয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।

তিনি জানান, এই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ওমান থেকে সৌদি আরবে যাচ্ছিল তিনটি জাহাজ। হঠাৎ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে একটি জাহাজ ইয়েমেন সাগরে ডুবে যায়। বাকি দুটি জাহাজের মাধ্যমে প্রাণে রক্ষা পেয়ে তারা ইয়েমেনের বন্দরে নেমে আশ্রয় প্রার্থনা করলে হুতি বন্দিরা তাদের আটক করে। সেখানে তারা খাবারসহ নানা সংকেটে মানবিক দিন কাটান। পরে দেশে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরা জুন মাসে তাদের উদ্ধারের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে আবেদন করে। বিষয়টি নিয়ে এ বছরের জুলাই মাসে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়। পরে আটক বাংলাদেশিরা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করে। ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা বিষয়টি কুয়েত, ওমান ও জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়। এই পাঁচ বাংলাদেশির সঙ্গে ভারতীয় ১৪ জন নাবিকও বন্দি ছিলেন। ভারত সরকারও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। ২৮ নভেম্বর হুতি বন্দিরা তাদের মুক্তি দিলে তাদের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওওম) হেফাজতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গতকাল তাদের ঢাকা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জেল থেকে দেশে ফেরেন আরও আট বাংলাদেশি। ২০১৯ সালের মে মাসে ওমান সংলগ্ন আরব সাগরে মাছ ধরার সময় তাদের ফিশিং বোট স্রোতের টানে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ে। এরপর পাকিস্তানি কোস্ট গার্ড তাদের আটক করে। পরে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ বিভাগের আরো খবর