দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর যেকোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করার সক্ষমতা সরকারের থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কনটেন্ট বন্ধ করা যায় না। তাই গুজব ও অপপ্রচার ঠেকাতে সরকার এ বিষয়ে একটি আইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার বিপজ্জনক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মেধা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই তথ্য সন্ত্রাস মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।’
পাশাপাশি অপপ্রচারের জবাব দিতে একটি ‘বাহিনীও’ করতে চান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হচ্ছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে কিন্তু প্রতিবাদে সুংসগঠিত প্লাটফর্ম গড়ে ওঠেনি। তাদেরকে আইনগতভাবে এবং মিথ্যাচার মোকাবিলায় অনলাইন বাহিনী দরকার। তারা সক্রিয় হলে গুজব রটনাকারীরা সুবিধা করতে পারবে না।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ এক ওয়েবিনারে জব্বার এসব কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশের নেয়া আইনি প্রক্রিয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা খুব একটা সাড়া দিচ্ছে না। তাই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কয়েকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি।’
অনলাইনে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।
ওয়েবিনারে আরও সংযুক্ত ছিলেন- সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।