করোনার টিকা কেনার সব আয়োজন শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিগগির এই ভ্যাকসিন চলে আসবে।
জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় সরকার প্রধান ইতিহাসের নানা ঘটনা তুলে ধরার পাশাপাশি কথা বলেন করোনার টিকা নিয়েও।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন কেনার সব ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই ভ্যাকসিন চলে আসবে।’
টিকা দেয়া হলেও মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপরেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষাটা মেনে নিজেকে রক্ষা করতে হবে অপরকে রক্ষা করতে হবে। এটাই হলো সবচেয়ে বড়।
‘যত ভ্যাকসিন যাই বলি না কেন, তারপরেও সকলকেই কিন্তু এই মাস্ক পড়া হাত ধোয়া পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এগুলি আমাদের সবাইকে মানতে হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ক্ষতি কী, সেটাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এগুলো মেনেই কিন্তু আমরা করোনা ভাইরাসকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আপনাদের মনে রাখতে হবে, মার্চ মাসেই করোনা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছিল আমাদের। কাজেই সে সময় হয়তো আবার একটা ধাক্কা দিতে পারে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনও অপেক্ষায় অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকার জন্য।
টিকাটি এরই মধ্যে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম পর্যায়ে ৫০ লাখ টিকা আনতে ৬০০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
তবে সিরামের সিইওর সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তিনি জানিয়েছিলেন, টিকা বিদেশে রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা আছে। যদিও পরে তিনি নিজেই বলেন টিকা রপ্তানি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা নেই।
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীও জানিয়েছেন, টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই। যদিও বাংলাদেশ কবে টিকা পাবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই টিকা এখনও অনুমোদন দেয়নি। আর এই অনুমোদন হলে পরেই কেবল তা প্রয়োগ করা যাবে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন শনিবার জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে টিকা আসবে।