বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর খুনির বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:১৭

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভায় মোসলেহ উদ্দিন খানসহ ৫২ জনের সনদ বাতিল করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি সেনাবাহিনীর বরখাস্ত রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ওরফে মোসলেম উদ্দিন খানের বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করেছে সরকার।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মোসলেহ উদ্দিন খানসহ ৫২ জনের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক বলেন, অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, যারা আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় খুনি বা যাদের অপরাধ প্রমাণ হবে, তাদের সনদ বাতিল করা হবে। বিশেষ টিম গঠন করে খোঁজ নেয়া হয়েছে। তারপর তথ্য প্রমাণ মিলিয়ে নিশ্চিত হয়ে মোসলেহ উদ্দিনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

গেজেট অনুসারে মোসলেহ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের দত্তেরগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হক খান। তার সেনা গেজেট নম্বর ৬৪৩।

বর্তমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় বঙ্গবন্ধুর অন্য কোনো খুনির নাম রয়ে গেছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি মন্ত্রী।

তিনি জানান, আদালত থেকে নাম ঠিকানা নেয়া হয়েছে। আর কারও নাম পেলে তাদেরকেও বাদ দেয়া হবে।

যাদের সনদ বাতিল হয়েছে তাদের কেউ কেউ এতোদিন মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও পেয়েছেন। তাদের ভাতা ফেরত নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, ‘ভাতার অর্থ আদায়ের চেষ্টা থাকবে।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসায় সপরিবারে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। তারা হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন।

বাকি সাত খুনির এক জন আজিজ পাশা। ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে তার মৃত্যু হয়।

আরেক খুনি আব্দুল মাজেদ গত ৭ এপ্রিল ঢাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার ফাঁসি কার্যকর হয় গত ১১ এপ্রিল।

২০২০ সালের ১১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বাকি পাঁচ জন এ এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান ও খন্দকার আবদুর রশিদ পলাতক।

বিচারের এতদিন পর কেনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হলো তার কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঠিকানা ও পরবর্তী পদপদবীর কারণে ঠিকানার গড়মিল ছিল। তাই দেরি হলো।’

সনদ বাতিল হওয়া ৫২

৫২ জনের সনদ বাতিল করে গত ৫ জানুয়ারি গেজেট হয়েছে। তবে বিজি প্রেস থেকে গেজেটের কপি রোববার মন্ত্রণালয়ে এসেছে।

এই ৫২ জন হলেন নরসিংদী সদরের আবুল ফজল, মো. জয়নাল, শিবপুরের মোসলেহ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের মৃত মো. মুখলেছুর রহমান, মো. নাসিরুল ইসলাম খান ও মো. আজিজুল হক, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত গোলাম মোস্তফা।

গাজীপুরের কালীগঞ্জের আবদুল কাদের, মো. আলতাফ হোসেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. ওয়াহিদুর রহমান, মরহুম মো. আবদুল মালেক, কক্সবাজার উখিয়ার রুহুল আমিন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ডা. এ গাফফার মিয়া, বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. সামাদ আলী।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁদ মোহাম্মদ, মো. ওসমান আলী, মো. জাকির হোসেন, আ. কাদের মোল্লা, আ. রহমান, আ. জব্বার, সরদার মো. বয়েত রেজা, মো. শামসুল হক, মৃত সিরাজুল ইসলাম, মো. আ. গফুর খান, মো. শফি উদ্দিন, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আ. রব, মো. জামাত আলী, মো. আ. সামাদ, মো. আফজাল হোসেন, মো. আ. আউয়াল, মো. রফিকুল ইসলাম, মৃত আনছার আলী, মৃত নুরুল ইসলাম।

পাবনার ঈশ্বরদীর মো. তরিকুল ইসলাম, পাবনা সদরের মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মো. আব্দুল বাছেদ করিম, সখিপুরের মো. আ. বছির মিয়া।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মৃত ইলিয়াস মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মো. শহীদুল্লাহ সরদার, মৃত আলী আকবর, মনিরুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ, আবদুল মাজেদ।

বরিশালের উজিরপুরের মো. বেলায়েত আলী বিশ্বাস, মো. আবদুল হাকিম মোল্লা, এছাহাক মুন্সি, আবদুল মাজেদ আলী হাওলাদার, মৃত মো. আ. রহিম, হারুন অর রশিদ, আ. রহমান সরদার।

এ বিভাগের আরো খবর