সিটি করপোরেশনের টাকা নিজের মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে রেখে বেআইনি কিছু করেননি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
নগর ভবনে রোববার অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া উদ্বোধনের পর সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তাপসের মেয়র পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন
ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন শনিবার অভিযোগ তোলেন- ডিএসসিসির টাকা নিজের মালিকানাধীন ব্যাংকে রেখে সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, দ্বিতীয় ভাগের ২ অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) ভঙ্গ করেছেন তাপস। এ কাজ করে মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি।আরও পড়ুন: নোংরামি নিয়ে খোকনের অভিযোগের জবাব তাপসের
সিটি করপোরেশনের টাকা নিজের মালিকানাধীন ব্যাংকে রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তাপস জানান, দেশের সব বেসরকারি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করেই সব সরকারি সংস্থা থেকে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। মধুমতি ব্যাংকও তাই করেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বেসরকারি ব্যাংক আমানত সংগ্রহ করে থাকে, মধুমতি ব্যাংকও আমানত সংগ্রহ করে থাকে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা থেকে আমানত সংগ্রহ করা হয়। এটা আইন বহির্ভূত কিছু না।’
আরও পড়ুন: খোকনের বিরুদ্ধে ‘মোটা অঙ্কের’ টাকা নেয়ার অভিযোগ
ব্যক্তিগত আক্রোশের বশে সাঈদ খোকন উন্মাদের মতো বকছেন বলে মনে করেন তাপস। সাবেক মেয়রের কথার জবাব দেয়া সমীচীনও মনে করছেন না তিনি।
‘ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কেউ যদি উন্মাদের মতো প্রলাপ বকে তবে আমি দায়িত্বশীল পদে বসে সেটার উত্তর দেয়া সমীচীন মনে করি না। আমি এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। এসব ওনার ব্যক্তিগত অভিরুচি।’
নকশাবহির্ভূত বলে ফুলবাড়িয়া ও সুন্দরবন মার্কেটে দেড় হাজারের বেশি দোকান ভেঙে দিচ্ছে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
উচ্ছেদের শিকার দোকানিরা বলছেন, খোকন মেয়র থাকাকালে তারা টাকা দিয়ে সেগুলোর বরাদ্দ নিয়েছিলেন। আর টাকা নেয়ার রসিদও আছে। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, রসিদ থাকলেও এই টাকা করপোরেশনের তহবিলে জমা পড়েনি।
এসব অভিযোগে খোকনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করছে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআই।
ফুলবাড়ীয়া ও সুন্দরবন মার্কেটে দেড় হাজারের বেশি নকশাবহির্ভূত দোকান আছে, যেগুলোর বরাদ্দ দেয়া হয় সাঈদ খোকন মেয়র থাকাকালে
খোকন দোকান উচ্ছেদ অভিযানের সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে এসবে পাত্তা না দিয়ে অভিযান চালু রাখা নিয়ে অনড় তাপস। বিষয়টি নিয়ে দুই জনের মধ্যে বিরোধ চরমে ঠেকেছে।
খোকনকে ইঙ্গিত করে তাপস বলেন, ‘দুর্নীতি তখন হয় যখন কেউ ঘুষ খায়, কোনো কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, সরকারি প্রভাব খাটিয়ে কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করে, জিম্মি করে টাকা আদায় করেন এবং সে অর্থ নিজে আত্মসাৎ করে।’