এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের টিকা পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিনের কোনো অভাব হবে না, এটি আমরা আশা করি।’
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মানিকগঞ্জর সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেকেই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। চায়না, রাশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। আমরা সব দরজা খুলে রেখেছি। ফাইজার কোম্পানি আমাদের অফার করেছে ভ্যাকসিন দেওয়ার। কিছু ভ্যাকসিন ফাইবার আমাদের বিনা মূল্যে দিবে। যে ভ্যাকসিনটি ইউরোপে ও আমেরিকায় দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, সেই ভ্যাকসিনটিও আমরা গ্রহণ করব এবং আমাদের যারা ফ্রন্টলাইন ওর্য়ার্কার তাদের আমরা টিকা দেব, এটিই আমাদের পরিকল্পনা। এই বিষয়ে এখন কাজকর্ম চলছে এবং প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে অবহিত আছেন।’
এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ফটো ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার দেড় হাজার মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়ে। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে দ্বিতীয় ওয়েব নাই। যেটা আমরা দেখতে পাইনি। আমেরিকায় প্রতিদিন ৪ হাজার লোক মারা যায়। বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের বেশি লোক মারা যায়। আমাদের দেশে এখনও কিছু লোক মারা যাচ্ছে। আমরা চাই না করোনাভাইরাসে একটি লোকও মৃত্যুবরণ করুক।’
করোনা বাংলাদেশে অনেক কমে আসছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রথম ওয়েবে করোনাভাইরাস সেটা ছিল। এখন যে পর্যায়ে আছে, সেটা প্রথম ওয়েবের সময় সবচেয়ে কম সংক্রমণ ছিল। এখনও কিন্তু ওই কম হারে আছে। সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে এখন সংক্রমণের হার সাড়ে ৫ পারসেন্ট। সুস্থতার হার ৯০ পারসেন্ট। মৃত্যুর হার কমে গেছে। কিছু মৃত্যুর হার বেড়েছিল। আগের তুলনায় এখন আমাদের দেশ অনেক ভালো আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখি। আমাদের যারা বিরোধী আছেন, মানুষের প্রয়োজনের সময় তাদের দেখা যায় না। শীতের সময়, বন্যার সময়, করোনার সময় তারা নাই। খালি টেলিভিশনের পর্দায় মাঝে মাঝে তাদের বক্তব্য দেখি। তা ছাড়া কোনো মানুষের পাশে নেই তারা। মানুষ সজাগ হয়ে গেছে। এবার মানিকগঞ্জ পৌর নির্বাচনে মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে তারা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকার সাথে আছে।’