রাজধানীর কলাবাগানে ‘ধর্ষণ ও হত্যার শিকার’ ছাত্রীর দাফন হয়েছে।
গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় শনিবার সকাল সাতটায় জানাজা শেষে তার দাফন হয়।
এর আগে শনিবার ভোরে ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। দাফন শেষে অভিযুক্ত দিহানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
দিহানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। ছবি: নিউজবাংলা
গত বৃহস্পতিবার মেয়েটির মৃত্যুর পর কলাবাগান থানায় মামলা করেন তার বাবা।
মামলায় বলা হয়, তার মেয়েকে দুপুর ১২টার দিকে ফারদিন ইফতেখার দিহান কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, রক্তক্ষরণে মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বেলা একটা ২৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পৌনে দুইটার দিকে মারা যায় মেয়েটি।
রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান জানান, ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকেই ফারদিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে দিহানকে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামি দিহান। আদালত জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এদিকে সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়েটির গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ বলেছেন, কোনো জোরাজুরির আলামত তারা পাননি। যোনিপথ ও পায়ুপথ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় কলেজছাত্রী ‘হাইপো ভোলেমিক’ শকে মারা গেছে।