‘এসো ওড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি’ স্লোগানে নিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাকরাইন বা ঘুড়ি উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে।
১৪ জানুয়ারি ৩০ পৌষ সংক্রান্তির দিন এ উৎসব হবে। দক্ষিণ সিটির আকাশ রাঙাতে এ আয়োজন করছে করপোরেশনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটি।
এ উৎসব একযোগে করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে আয়োজন করা হবে। পৌষ সংক্রান্তির বেলা দুইটা থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলবে রাত আটটা পর্যন্ত।
আয়োজনের অংশ হিসেবে ৭৫টি ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের ৭৫ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের ২৫ জন নারী কাউন্সিলরকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ১০০টি করে ঘুড়ি সরবরাহ করা হবে।
পরে কাউন্সিলররা সেসব ঘুড়ি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের জনসাধারণের মধ্যে বিলি করবেন, যারা কমিটি নির্ধারিত মাঠ কিংবা বাড়ির ছাদে অবস্থান নিয়ে ঘুড়ি উড়াবেন।
এ প্রসঙ্গে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই এই উৎসব ভুলতে বসেছি। তাই ঢাকার ঐতিহ্য লালন, সংরক্ষণ ও প্রসারে ডিএসসিসির মেয়র যে রূপরেখা ঘোষণা করেছেন, এর ধারাবাহিকতায় আমরা প্রথমবারের মতো এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ সেদিন ঘুড়ি উড়াতে পারবেন। শিগগির সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের বরাতে উৎসবের খুঁটিনাটি জনগণকে অবহিত করা হবে।
সাকরাইন উৎসব-১৪২৭ আয়োজন প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঐতিহ্যের সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার যে রূপরেখা মেয়র ঘোষণা করেছেন, তারই আলোকে এবার পৌষ সংক্রান্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রথমবারের মতো ৭৫টি ওয়ার্ডে সমন্বিতভাবে উৎসবের আয়োজন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সম্মানিত কাউন্সিলররা সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে একটি সফল আয়োজনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজন পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ফিরিয়ে আনতে একটি মাইলফলক হবে থাকবে।’