বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ও’ লেভেল ছাত্রীর মৃত্যু, মাকে কল করেন আসামি দিহান

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৩:১৫

‘আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলে, সে দিহান। আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। আকস্মিকভাবে আমার মেয়ে অচেতন হয়ে পড়ায় সে আমার মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেছে’- নিহতের বাবা

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার মাকে ফোন করেন ফারদিন ইফতেখার দিহান, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনায় রাতে কলাবাগান থানায় মামলা করেন তার বাবা।

আসামি ফারদিনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

মামলার এজহারে মেয়েটির বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় তার স্ত্রী অফিসের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন। তিনি ব্যবসায়িক কাজে বের হন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার স্ত্রীকে ফোন করে মেয়ে জানায়, সে কোচিং থেকে পেপার্স আনতে যাচ্ছে।

বেলা একটা ১৮ মিনিটে মেয়ের মায়ের মোবাইল ফোনে কল আসে। ফারদিন ইফতেখার দিহান নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, মেয়েটি অচেতন অবস্থায় পড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলে, সে দিহান। আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। আকস্মিকভাবে আমার মেয়ে অচেতন হয়ে পড়ায় সে আমার মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেছে।’

এই খবর পেয়ে মেয়েটির মা অফিস থেকে বের হয়ে বেলা একটা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে যান।

এজাহারে বাবা উল্লেখ করেন, ‘সেখানে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছ থেকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে মর্মে আমার স্ত্রী জানতে পারেন।’

বেলা একটা ৫৭ মিনিটে বিষয়টি মেয়ের বাবাকে জানান স্ত্রী। এর পর তিনি হাসপাতালে ছুটে যান।

এজাহারে বাবা লেখেন, তার মেয়েকে বেলা ১২টার দিকে দিহান কলাবাগানের লেকসার্কাস রোডে নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়।

রক্তক্ষরণে মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বেলা একটা ২৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পৌনে দুইটার দিকে মারা যায় মেয়েটি।

‘ও’ লেভেলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি

পরে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে যায়। তারা মেয়েটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।

কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) ঠাকুর দাস জানান, মামলায় ফারদিন ইফতেখার দিহান নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি আগে থেকেই পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত এখনও হয়নি বলে জানান ঠাকুর দাস। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ওই ছাত্রীর নিহতের পর হাসপাতাল থেকেই ফারদিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় বলে জানান রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ছেলেটাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে বলে, মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ছেলেটা দাবি করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর