নদীবেষ্টিত বরিশাল বিভাগে নৌ পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এর মধ্যে ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলায় নৌ পুলিশের কোনো ইউনিট নেই। এ কারণে প্রায়ই বরিশালে নৌপথে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নৌ পুলিশকে।
নৌ পুলিশ সূত্র জানায়, ১৫টি ইউনিট, দুইটি জোন অফিস ও অঞ্চল অফিস মিলিয়ে এই অঞ্চলে নৌ পুলিশ সদস্য সংখ্যা ২০৩। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
পুরো বরিশাল অঞ্চলে পুলিশ সুপার (এসপি) রয়েছেন এক জন। বরিশাল ও পটুয়াখালী জোনে এক জন করে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)। বরিশাল অঞ্চলের ১৫টি ইউনিটসহ পরিদর্শক রয়েছেন ১১ জন এবং ১৪ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ২৯ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), এটিএসআই এক জন, নায়েক ১১ জন ও ১৩৩ জন কনস্টেবল রয়েছেন।
এর মধ্যে পটুয়াখালী জোন অফিসে মাত্র এক জন এএসপি রয়েছেন। এ ছাড়া কালিগঞ্জ নৌ পুলিশ ইউনিট, চামটা ইউনিট, ভোলার মির্জাকালু ইউনিট, পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ ইউনিট, দশমিনা ইউনিট, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ইউনিট ও বরগুনার চরদুয়ানী নৌ পুলিশ ইউনিটে কোনো পরিদর্শক নেই।
গবেষক আনিসুর রহমান খান স্বপন নিউজবাংলাকে বলেন, পুরো বরিশাল বিভাগ নদীবেষ্টিত। এই বিভাগে আরও শক্তিশালী নৌ পুলিশ দরকার। যেনো নৌ পথের অপরাধ দমন সহজ হয়। কম সদস্য নিয়ে নৌপথে নিরাপত্তা দেয়া নৌ পুলিশের জন্য কষ্টকর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বরিশাল বিভাগে নৌ পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী সদস্য দেয়া।
নৌ পুলিশ বরিশাল জোনের এএসপি তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘বরিশাল অঞ্চলে নৌ পুলিশের ব্যাপক সংকট রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্বল্পসংখ্যক সদস্য নিয়েই আমরা যথাসাধ্য কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে সদস্য সংখ্যা বাড়ালে বরিশাল নৌ পুলিশ আরও শক্তিশালী হবে।’