বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ও লেভেলের ছাত্রীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’, আটক ১

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:৩৫

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফারদিন ইফতেখার দিহান নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। দিহান এ লেভেল পরীক্ষা দিয়েছেন বলে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) ঠাকুর দাস জানিয়েছেন।

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ও লেভেলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফারদিন ইফতেখার দিহান নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। দিহান এ লেভেল পরীক্ষা দিয়েছেন বলে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) ঠাকুর দাস জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওই ছাত্রীর মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে মাস্টার মাইন্ড স্কুলে ও লেভেলের ছাত্রী। কোচিংয়ের ওয়ার্কশিট আনার কথা বলে দুপুর ১২টায় বাসা থেকে বের হয়। ওয়ার্কশিট নিয়ে পাশে এক ফ্রেন্ডের বাসা হয়ে বাসায় আসার কথা ছিল। কিন্তু পরে ওখান থেকে আমার মেয়েকে দিহান চাপে ফেলে তাদের কলাবাগানের বাসায় নিয়ে যায়। আমি ওর সকল বন্ধুকে চিনি। দিহান আমার মেয়ের বন্ধু না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোয়া একটার দিকে দিহান আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে আসছে। দিহান আমায় ফোনে বলে আন্টি ও সেন্সলেস হয়ে গেছে।’

রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, ‘আমরা পৌনে দুইটায় খবর পাই যে একটি মেয়েকে আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটালে নেয়া হয়েছে। ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। একটা ছেলে ওই মেয়েটিকে হসপিটালে নিয়ে আসছেন বলেও আমাকে জানানো হয়। আমি ছেলেটিকে ওখানেই রাখার কথা বলি। আমরা দুই মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে যাই। ছেলেটাকে আমরা হেফাজতে নেই।’

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে আমরা ছেলেটাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সে বলে, মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ছেলেটা দাবি করেছে। মেয়েটাকে বাসায় নেয়ার পরে তাকে সে ধর্ষণ করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই ঘটনার সব ধরনের আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। আমরা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ছেলেটার আরও তিন জন বন্ধু সেখানে উপস্থিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ওই তিন জনকেও থানায় এনেছি।’

রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীর মামা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যখন এসে দেখেছি, তখন দেখি প্রচুর পরিমাণে ব্লাড ঝরতেছে। আমার ভাগনির হাতে ও কোমরে দাগ দেখেছি। থানায় আমরা এখনো মামলা করতে পারি নাই। মামলার প্রসেস চলতেছে। তবে মামলা তৈরিতে ওসি ইচ্ছা করে ঢিলেমি করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর