বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এগিয়েছি অনেক, যেতে হবে বহুদূর

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:২২

‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি সমীহের নাম। জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব আজ চোখে পড়ার মত।’

সরকারের বর্তমান মেয়াদের দুই বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক যুগে তার শাসনামলে সরকারের অগ্রগতির বর্ণনা তুলে ধরলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ অনেকদূর এগিয়েছি সত্য। আমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে।’

সে গন্তব্য পথ মসৃণ হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি। পথ যত কঠিনই হোক, আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। আমরা যদি পরিশ্রম করি, সততা-দেশপ্রেম নিয়ে দায়িত্ব পালন করি, তাহলে আমরা সফল হবই।’

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো সরকার প্রধান হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আরও দুটি সরকার গঠন করেন। দ্বিতীয়টি ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ও পরের বার ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি।

সরকারের বর্ষপূর্তির দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ড করা এই ভাষণ প্রচারিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে। দেশের সবগুলো বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলও এটি সম্প্রচার করে।

সরকারের দুই বছর পূর্তির পাশাপাশি এবার শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের তথা আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশে এর আগে কখনও কোনো সরকার এত সময় ক্ষমতায় ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি সমীহের নাম। জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব আজ চোখে পড়ার মত।’

বাংলাদেশ উন্নয়নের যে মহাসড়ক বেয়ে ‘দুর্বার গতিতে’ ধাবিত হচ্ছে জানিয়ে দেশবাসীকে সতর্কও করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হতে না পারে সেদিকে আপনাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

করোনার টিকা আশার কথা

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে করোনা মহামারি ছাড়াও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে অর্থনীতি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টার কথা বলেন।

বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা প্রয়োগকে ‘আশার কথা’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশেও আমরা দ্রুত টিকা নিয়ে আসার সব ধরনের চেষ্টা করছি।’

টিকা আসার পর পরই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য-সহ সম্মুখসারির যোদ্ধারা অগ্রাধিকার পাবে বলেও জানান তিনি।

অগ্রগতির বর্ণনা

ভাষণে মূলত গত ১২ বছরে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বর্ণনা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের প্রাক্কলন অনুয়ায়ী করোনাভাইরাসের মধ্যেই চলতি বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭.৪ শতাংশে।

এই হার হবে এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ, আইএমএফের হিসাবে সারা বিশ্বে তৃতীয়।

ভাষণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন, বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে জাতির পিতাকে হত্যা, সামরিক শাসনে গণতন্ত্রহীনতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘জনগণের সম্পদ লুটপাট করে, তাদের বঞ্চিত রেখে, ৩০-লাখ শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে রেখেছিল।’

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছর সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সে প্রচেষ্টায় ছেদ পড়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১২ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে।’

২০২১ সালের আগেই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন। রূপকল্প ২০৪১-এর কৌশলগত দলিল হিসেবে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদনের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

পাঁচ বছরে এক কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষে দারিদ্র্যের হার ১৫.৬ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৭.৪ শতাংশে নেমে আসবে।

পদ্মাসেতু আগামী বছর

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে পদ্মাসেতুর কথাও তুলে ধরেন।

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এক অর্থে লড়াই করে নিজ অর্থে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। গত ১০ ডিসেম্বর সবগুলো স্প্যান বসে যাওয়ায় এখন সেতুর ওপরি কাঠামোর কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত পদ্মাসেতুর ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর এই স্বপ্নের সেতু যানবাহন এবং রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে।’

ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেলের বিষয়টিও ভাষণে উঠে আসে। জানান, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অংশে রেললাইন বসানো হয়েছে। শিগগিরই জাপান থেকে ট্রেন ঢাকায় পৌঁছবে।

রূপপুর পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলির নদীর তলদেশে টানেলের কাজ ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও জানানো হয় ভাষণে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ২০২৩ সাল নাগাদ শেষ হবে।

রেলে উন্নয়নও তুলে ধরে হয় ভাষণে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৪৫১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং এক হাজার ১৮১ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪২৮টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

বিদ্যুতের ঘাটতির স্মরণ

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কথাও স্মরণ করান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কী দুঃসহ পরিস্থিতি ছিল সে সময়। বিদ্যুৎ কখন আসবে আর কখন যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না।

‘আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছি।

‘২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে।

‘বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ২০০৫-০৬ সালের ৪৭ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব ঘর আলোকিত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে জাতীয় গ্রিডে এক হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে তা ২ হাজার ৫২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ থেকে তৃতীর্থ স্থান উন্নীত হয়েছে। অব্যাহত নীতি সহায়তা ও প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে এই বিপ্লব সাধিত হয়েছে।

২০১৯-২০ বছরে কৃষিখাতে সাত হাজার ১৮৮ কোটিরও বেশি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি উৎপাদনেও বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ।

অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।

উন্নয়ন ভাবনায় গ্রাম

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত গ্রাম এলাকায় ৬৩ হাজার ৬৫৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, তিন লাখ ৭৬ হাজার ব্রিজ-কার্লভার্ট, এক হাজার ৬৮৫টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, ৯৩৬ টি সাইক্লোন সেন্টার এবং ২৪৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

এই ১২ বছরে ৪৫৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার বা তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আরও ৬৬১ কিলোমিটার মহাসড়ক চার এবং তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।

স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি

ভাষণে তার আমলে সারা দেশে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেয়ার কথা তুলে ধরা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ এবং গুণগত মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু ২০১৯-২০ বছরে ৭২.৬ বছরে উন্নীত হয়েছে।

পাঁচ বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৮ ও অনুর্ধ্ব এক বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ১৫-তে হ্রাস পেয়েছে। মাতৃমৃত্যু হার কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে।’

করোনাকালে স্কুলে অনলাইনে পাঠদানের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া হবে।

বিনামূল্যে বই বিতরণ, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষকদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী।

ডিজিটাল বাংলাদেশে সচল দেশ

মহামারিকালে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এই ক্রান্তিকাল ডিজিটাল বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং লেনদেন সুবিধা গ্রহণ করে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে সমর্থ হয়েছে।

নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

দুর্নীতিবাজকে ছাড় নয়

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না এবং হবে না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।’

সরকার কঠোর হাতে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে

করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার কারণে মুজিব বর্ষ আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করতে না পারার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ব্যাপকভাবে আয়োজিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য এবং আওয়ামী লীগের জন্য গর্বের বিষয় যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।’

১৯৯৭ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীর সময়ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অন্য কোনো দল বা গোষ্ঠী স্বাধীনতার এই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখার তাগিদ অনুভব করবে না।’

মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের প্রত্যেককে ২ শতাংশ খাসজমি বরাদ্দ, ৬৫ হাজার ৭২৬টি ঘর তৈরির কার্যক্রম এগিয়ে চলার বিষয়টি তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

এ বিভাগের আরো খবর